অর্ণব দাস, বারাসত: বুধবার দুপুরে বৃদ্ধার হাত-পা বাঁধা অর্ধনগ্ন অবস্থায় মৃতদেহ (Dead body) উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দত্তপুকুর থানা কদম্বগাছি শিবতলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সন্ধ্যা বিশ্বাস (৭০)। সন্ধ্যাদেবীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এবিষয়ে তাঁরা দত্তপুকুর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশও মনে করছেন বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কদম্বগাছির কয়রা শিবতলা এলাকার বাসিন্দা সন্ধ্যা বিশ্বাস। তাঁর স্বামী সরকারি কর্মচারী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তাঁর দুই ছেলে পাশেই আলাদা আলাদা থাকেন। বুধবার দুপুরে নাতি সন্ধ্যাদেবীর খোঁজ নিতে বাড়িতে আসেন। অনেক ডেকেও তার সাড়া না পেয়ে শেষে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে বৃদ্ধাকে হাত-পা বাঁধা অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে দরজা খুলে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে আইনি ব্যবস্থা! বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবিষয়ে বৃদ্ধার ছেলে সুজিত বিশ্বাস বলেন, “আমার ছেলে এদিন মায়ের কাছে এসেছিল। কিন্তু সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে পায় মাটিতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মা পড়ে রয়েছে। এরপর এলাকাবাসী এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মাকে খুন করা হয়েছে বলেই আমাদের অভিযোগ।”
একইভাবে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বৃদ্ধার নাতনি মৌমিতা রায়ও। তিনি বলেন,”আগের দিন রাতেও আমার সঙ্গে দিদার কথা হয় শরীর খারাপ হলে আমাকে অবশ্যই বলত। এদিন ভাই এসে দিদাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। দিদার কারোর সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। দিদাকে খুন করা হয়েছে বলে আমাদের অভিযোগ। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক এটাই চাই।”
[আরও পড়ুন: প্রসূতি মৃত্যু কমাতে হাসপাতালগুলিতে চালু হবে পোস্টপার্টাম কেয়ার ইউনিট, সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যদপ্তরের]
বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কিভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।