সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সপ্তাহখানেক আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকা উলটে নিখোঁজ হয়েছিলেন দুই মৎস্যজীবী। তাঁদেরই একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল শনিবার দুপুরে। মৃত ব্যক্তি রবি দাসকে বলে শনাক্ত করেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।এখনও নিখোঁজ একজন।
গত শনিবার বঙ্গোপসাগরে ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন চার মৎস্যজীবী। উথালপাথাল ঢেউয়ে উলটে যায় তাঁদের ডিঙি নৌকাটি। চার মৎস্যজীবীই গভীর সমুদ্রে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া জলের ড্রাম ধরে সমুদ্রে ভেসেছিলেন। মাছ ধরে ফেরার সময় নামখানার একটি ট্রলার ওই দুই মৎস্যজীবীকে জীবিত উদ্ধার করে রায়দিঘিতে নিয়ে আসে। নিখোঁজ হয়ে যান দুই মৎস্যজীবী – বছর ছাব্বিশের রবি দাস এবং পঁয়ত্রিশ বছরের বুদ্ধেশ্বর মণ্ডল। আজ, শনিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে জালে ভারী কিছু আটকেছে বলে বুঝতে পারেন ওই মৎস্যজীবীরা। বড় মাছের আশায় জাল তুলতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। তাঁরা দেখেন, সেই জালে আটকে রয়েছে একটি মৃতদেহ।
[আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে ধুলো জমছে অ্যাম্বুল্যান্সে, সরকারি টাকার অপচয়ের ছবি বর্ধমানে]
এই খবর পৌঁছায় সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি রায়দিঘি থেকে একটি নৌকা পাঠান মৃতদেহটিকে নির্দিষ্ট জায়গায়া নিয়ে যাওয়ার জন্য।। সেই নৌকাতেই মৃতদেহটি এদিন বিকেলে রায়দিঘির ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় নিজে। মৃতদেহটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস জানান যে দেহটি এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মৎস্যজীবী, সম্পর্কে তাঁর শ্যালক রবি দাসের। দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রবি দাসের আত্মীয়রা। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বুদ্ধেশ্বর মণ্ডল নামে অপর মৎস্যজীবী। রবি দাসের পরিণতি দেখে চরম আশঙ্কায় বুদ্ধেশ্বরের পরিবার। তাঁদের বাড়ির রোজগেরে সদস্যটি আদৌ জীবিত আছেন কি না, সেই চিন্তা নতুন করে শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জনসংযোগে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের, পশ্চিম বর্ধমানে শুরু ‘পঞ্চায়েত এল আপনার দ্বারে’]
The post জালে মাছের বদলে মৃতদেহ! এক সপ্তাহ পর উদ্ধার রায়দিঘির নিখোঁজ মৎস্যজীবী appeared first on Sangbad Pratidin.
