সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রাতে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে হোটেল ভাড়া নিয়েছিলেন। আর রাত কাটতে না কাটতেই হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল মহিলার দেহ! শনিবার এনিয়ে দিনভর চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার (Nadia) মায়াপুরে। ঘাট সংলগ্ন নীলাচল লজের সামনে অন্নপূর্ণা হোটেলের এই ঘটনায় আতঙ্কিত হোটেলের আবাসিক ও কর্মীরা। কীভাবে মৃত্যু হল, মহিলার সঙ্গীই বা কোথায়, সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে কিনারা করতে নেমেছে পুলিশ।
নদিয়ার ধানতলার বাসিন্দা বছর একষট্টির বিদ্যুৎ বিশ্বাস ও ৪৩ বছরের মীনা বিশ্বাস। মীনা আংশিক দৃষ্টিহীন। দুজন শুক্রবার মায়াপুরের (Mayapur) অন্নপূর্ণা হোটেলে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওঠেন। এর পর সকালে হোটেল কর্মীরা ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন, তাঁদের ঘরে ছিটকিনি দেওয়া। তা দেখে প্রথমে তিনি ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর সেই ঘরে আবার যান তিনি। অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া পাননি। তখন ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ। তা উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত করতে গল্প সরকারের! টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার বিকাশের]
তবে মহিলার সঙ্গী বিদ্যুৎ বিশ্বাসের কোনও খবর মেলেনি দিনভর। তিনি কখন বেরিয়ে গিয়েছেন হোটেল থেকে, কর্মীরা কেউ টের পাননি বলেই জানান। মীনাদেবীকে খুন (Murder) করেই কি তিনি পালিয়েছেন নাকি মীনাদেবী আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন, এসব প্রশ্ন উঠছে। এখনও কোনও সূত্র তদন্তকারীরা পাননি বলেই খবর। ধানতলায় তাঁর সন্ধান করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও মীনাদেবী কি সত্যিই স্বামী-স্ত্রী নাকি সেই পরিচয়ে হোটেলে উঠেছিলেন, উঠছে সেই প্রশ্ন।