সম্যক খান, মেদিনীপুর: একুশে জুলাইয়ের সকালে তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে নিরাপত্তায় গলদের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা শেখ নূর আমিন সশস্ত্র পুলিশ পরিচয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিশ। কিন্তু কেন এমন কাজ করলেন ওই যুবক? কী তাঁর পরিচয়?
শেখ নূর আমিন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। গত তিনবছর ধরেই তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। অবসাদে ভুগছিলেন। কলকাতায় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা চলছিল নূর আমিনের। নিয়মিত তাঁকে ওষুধও খেতে হত। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী পুনম বিবি। সপ্তাহের অধিকাংশ দিন কলকাতাতেই থাকতেন। সপ্তাহের দুদিনের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরতেন। তবে তাঁর স্ত্রী পুনম বিবি বাপের বাড়িতেই থাকতেন।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের কার্বন ডেটিংয়ের অনুমতি বারাণসীর আদালতের]
পুনম বিবি আরও জানিয়েছেন, আমিন ছিলেন ইন্টিরিয়র কন্ট্রাকটর। বিএসএফে কিছু মালপত্র সরবরাহ করেছিলেন। সেই সূত্রেই পরিচয়পত্র জোগার করেছিলেন বলে প্রাথমিক ধারনা। এদিন কলকাতা ঘটনা ঘটার পরই কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে তলব করেছিল। থানায় গিয়ে সবটা জানিয়ে এসেছেন আমিনের স্ত্রী। অভিযুক্তর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের কন্যাসন্তানের মৃত্যু হয়েছিল আগেই।
শুক্রবার বেলার দিকে ‘পুলিশ’ লেখা একটি কালো গাড়ি নিয়ে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির গলিতে ঢোকার চেষ্টা করে এক যুবক। তবে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আটকে যায়। পুলিশ ওই যুবককে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে একাধিক অস্ত্র। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম শেখ নুর আমিন। গাড়ির প্লেটের নম্বর WB06U0277, পশ্চিম মেদিনীপুরে রেজিস্ট্রেশন করা বলে জানা গিয়েছে। গাড়ির সামনে লেখা ‘মানবাধিকার সুরক্ষা সংঘ’ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তবে এই ঘটনায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভিজেই পঞ্চায়েতে জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানালেন মমতা, আবেগে ভাসল জনতা]
