প্রসূন বিশ্বাস: মাত্র কয়েকদিন আগেই নেপালে আয়োজিত সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট উঠেছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের মাথায়। প্রবল শীতেও যেন বসন্তের রং ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ফাজিলা, সুলঞ্জনা, জ্যোতি, সিল্কিরা। দলের এই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপিত হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। বুধবার বড়দিনে ক্লাবের অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হলেন মহিলা ফুটবলার-সহ কোচ, সাপোর্টিং স্টাফেরা।
ফুটবলারদের এমন আকাশচুম্বী সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ২৫ লক্ষ টাকার চেক। সকলকেই সংবর্ধিত করা হয় লাল-হলুদ উত্তরীয় এবং সুদৃশ্য শতবার্ষিকী কয়েন দিয়ে। অনুষ্ঠানশেষে কোচ এবং ফুটবলারদের সম্মানে কেক কাটা হয়। এরপর নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সভাপতি মুরারীলাল লোহিয়া, সচিব রূপক সাহা, সহকারী সচিব ডা. শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, ইমামি গ্ৰুপের ডিরেক্টর সন্দীপ আগরওয়াল, ফুটবল অপারেশন হেড থাংবৈ সিংটো এবং হেড কোচ অ্যান্টনি আ্যন্ড্রিউজ। ছিলেন সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়, দেবব্রত সরকার, ক্লাবের কর্মসমিতির সকল সদস্য ও ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা।
এএফসি-র অভিযানকে 'ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করেন সচিব রূপক সাহা। জানিয়ে দেন কাঠমান্ডুতে সাফ ক্লাবের ট্রফি জয় ক্লাবকে গর্বিত করেছে। সভাপতি মুরারী লাল লোহিয়া ফুটবলারদের অতুলনীয় কীর্তিকে উচ্চাঙ্গে তুলে ধরে বলেন, ''দিল মাঙ্গে মোর।'' এদিকে ইমামি কর্তা সন্দীপ আগরওয়াল সাফল্যের সরণিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বতোভাবে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি অধিনায়ক ফাজিলা ইকওয়াপুটের কণ্ঠে ছিল জয়ের তৃপ্তির সুর। সাফল্যের জন্য কোচকেই কৃতিত্ব দিতে চাইছেন তিনি। সেই সঙ্গেই তিনি জানান, উগান্ডায় তাঁর যে ফাউন্ডেশন রয়েছে সেখানে দান করে দিয়েছেন 'মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার' বাবদ প্রাপ্ত সমস্ত অর্থই।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ডিসেম্বর নেপালের এপিএফ ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। ২১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোল করেন ফাজিলা। পরে ৩৫ মিনিটে আরও একটি গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন শিল্কি দেবী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফাজিলা। এই নিয়ে পঞ্চম আন্তর্জাতিক ট্রফি এল লাল-হলুদ ক্লাব তাঁবুতে।
