shono
Advertisement
Dev

সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শেষের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন দেব

দেবের ডেডলাইনে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা।
Published By: Sayani SenPosted: 09:32 PM Jun 12, 2024Updated: 01:03 PM Jun 13, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মিটতেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে তৎপর দেব (Dev)। বুধবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে বৈঠক করেন ঘাটালের তারকা সাংসদ দেব। বৈঠকে ছিলেন সেচদপ্তরের আধিকারিকরাও। প্রায় ঘণ্টাখানেক জলসম্পদ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শেষের ডেডলাইন বেঁধে দেন দেব।

Advertisement

দেব বলেন, "ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের সহযোগিতা না পেলে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান সম্ভব হবে না। নতুন করে অনেকগুলি খাল কাটতে হবে। অনেক জমি লাগবে আমাদের। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা ফিল্ডে থাকবেন। নতুন খাল কাটতে কোন কোন জমিগুলি লাগবে, কোন কোন খাল চওড়া করতে হবে, সেগুলি চিহ্নিত করে আসবেন।"

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বৈঠকে দেব, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। ছবি: দেবের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট

তিনি আরও বলেন, "আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্ল্যান তৈরি হয়ে যাবে। আট মাসের মধ্যে টেন্ডার ডাকা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করার জন্য ঘাটালবাসীর সহযোগিতা লাগবে। আমার আশা, ১০০-২০০ বছরের এই সমস্যা মেটাতে ঘাটাল প্রস্তুত। এটা আমাদের পাঁচ বছরের প্ল্যান। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান পুরোপুরি সম্পূর্ণ হতে পাঁচ বছর লাগবে।"

[আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়তি ২ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী, তবে রাখা যাবে না স্কুলে, নির্দেশ হাই কোর্টের]

উল্লেখ্য, ঘাটাল মূলত শীলাবতী, কংসাবতী এবং দ্বারকেশ্বর নদের শাখা নদী ঝুমির লীলাভূমি হিসাবে পরিচিত। তখনকার আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলস্বরূপ স্থানীয় ভূস্বামীরা এই নদীগুলির বন্যা ঠেকাতে সার্কিট বাঁধ দিয়ে নিজেদের জমিদারিতে নিচু এলাকাগুলিকে বন্যা থেকে বাঁচিয়ে আবাদি জমি বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সেই জমিদারি জমানা আর নেই। কিন্তু জমিদারি বাঁধগুলি আজও রয়ে গিয়েছে। এই জমিদারি বাঁধগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। তার ফলে বাঁধগুলি ভেঙেই মূলত ঘাটাল এলাকায় বন্যা দেখা দেয় ফি বছর। উলটোদিকে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি নদী বাঁধ উপচে ছড়িয়ে পড়তে না পেরে নদীতেই জমতে থাকে পলি মাটি।

ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী ও দেব। ফাইল ছবি

ফলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর ফি বছর বন্যা প্রবণতাও বাড়তে থাকে। এই সমস্যা মেটাতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের ভাবনা। কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হয়নি বলেই অভিযোগ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভোটের আগে রাজ্যের তরফে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আর বানভাসি হতে হবে না ঘাটালবাসীকে। দেবের ডেডলাইনে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা।

[আরও পড়ুন: ফের রণংদেহী মেজাজে সোহম! এবার বাগবাজারে মারকাটারি অ্যাকশন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শেষের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন দেব।
  • সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দেব জানান, আগামী ৫ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
  • দেবের ডেডলাইনে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা।
Advertisement