দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: হাওড়ার পর এবার রিষড়া (Rishra)। রামনবমীর মিছিল ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। শ্রীরামপুরে বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বিজেপি (BJP) বিধায়ক। অশান্তির জেরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে সময়মতো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বড় কোনও বিপদ হয়নি। অশান্তি কারা বাঁধাল, এনিয়ে তীব্র টানপোড়েন বিজেপি ও তৃণমূল শিবিরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক।
রবিবার বিকেলে রিষড়ায় রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ, শ্রীরামপুরে বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক-সহ একাধিক নেতা। রিষড়া ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় জিটি রোডের উপর আচমকাই মিছিলে হামলা চলে বলে অভিযোগ। চলে ইটবৃষ্টি। তাতে মোহন আদকের গাড়ির কাচ ভাঙে, আহত হন বিধায়ক বিমান ঘোষও। তাঁদের তড়িঘড়ি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত বিধায়ককে হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হাসপাতালে। সেখান বসেই তিনি রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগে কার্যত ফেটে পড়েন।
[আরও পড়ুন: শক্তিগড়ে হত্যাকাণ্ড: ছিল এক গাড়িতেই, শুটআউটের আগেই দ্রুত নেমে ভিড়ে মেশে ‘ফেরার’ লতিফ]
বিধায়ক বিমান ঘোষের অভিযোগ, ”মিছিল শেষের দিকে আচমকা ইট, কাচের বোতল, বোমা নিয়ে জনা কয়েক দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালায়। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসন যদি এ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমরা কেন্দ্রের কাছে দরবার করব। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: ফের মা হতে চলেছেন শ্লোকা মেহতা, বেবি বাম্প নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ আম্বানি-বধূর]
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক জানাচ্ছেন, ”আমার গাড়িতে ইট পড়তে শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের মিছিলে শামিল ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁরও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। একটা মিছিল ঘিরে এই ধরনের অশান্তি একেবারেই কাম্য নয়। পুলিশের সামনে সব ঘটলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা ”
পরে সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”আমি জানি না লোকজন কে কোনদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। খুব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ওখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে শুনলাম। কারা করেছে, জানা নেই। হাওড়ার পর এখানেও একইরকম ঘটনা ঘটল। হাওড়া থেকে কোনও শিক্ষা হয়নি রাজ্য প্রশাসনের।” তাঁকে পালটা আক্রমণ করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ”এই দায় সম্পূর্ণ বিজেপির। রামনবমীর মিছিলের নাম সর্বত্র ঘুরে ঘুরে অশান্তি বাঁধাচ্ছেন দিলীপবাবুরা।” দলের নির্দেশে অশান্তির এলাকায় গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব। কল্যাণবাবুর দাবি, দিলীপ ঘোষই এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত।