সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য পেল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রাণ বাঁচল এগারো মাসের শিশুর। ব্রঙ্কোস্কোপি করে শ্বাসনালী থেকে ফলের বীজ বের করলেন হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা।
[ ভিন ধর্মে বিয়ে, বর ও তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি কনের পরিবারের]
একরত্তি শিশুটির বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটে। দিন কয়েক আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হয় সে। সর্দি-কাশিতেও ভুগছিল শিশুটি। ডাক্তারি পরীক্ষা দেখা যায়, তার গলায় শ্বাসনালীর ডানদিকে কিছুটা একটা আটকে রয়েছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। শিশুটির গলায় অস্ত্রোপচার করে শ্বাসনালী থেকে আতা ফলের বীজ বের করেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক ঋতম রায় ও গণেশচন্দ্র গায়েন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আতা খেয়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। শিশুটির শ্বাসনালীতে আটকে যায় ফলের বীজ। তাই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার। আর কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। শিশুটি ভাল আছে। খুশি রোগীর পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, শিশুটি কীভাবে আতা খেতে গিয়ে বীজটিকেও গিলে ফেলল, তা বুঝতে উঠতে পারছেন না বাড়ির লোকেরা। তাঁদের বক্তব্য, মেয়েকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
দিন কয়েক জটিল অস্ত্রোপচার করে শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ২৫ আগস্ট এক শিশুর পেট থেকে বের করা হয়েছিল প্রচুর কুলের বীজ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল উৎপল দাঁ জানিয়েছেন, এখন সরকারি হাসপাতালেও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়। সীমিত পরিকাঠামোয় যতটা সম্ভব ভাল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান
[ ডিজে-র তালে বার ডান্সারের উদ্দাম নাচ, পরিবেশ বিধি ভেঙে বিতর্কে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প]
