শেখর চন্দ্র, আসানসোল: শীতের শুরুতেই পানীয় জলের সংকট কুলটির ইস্কোর আবাসনগুলিতে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না বলে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। এই অভিযোগে শুক্রবার ইস্কোর কুলটি সেইল গ্রোথ ওয়ার্কস কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। এদিকে জল না পাওয়ার দায় সরাসরি ডিভিসির উপর চাপিয়েছে ইস্কো।
আবাসিকদের অভিযোগ, ইস্কোর তরফে গত ১০ দিন ধরে মিলছে না পানীয় জল। আসানসোল পুরসভার তরফ থেকে জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেই জলে নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটছে না। সেই কারণে, বাইরে থেকে প্রচুর টাকা দিয়ে ট্যাঙ্কারের জল কিনে আনতে হচ্ছে। সেই জলই ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা। কত দিনে এই সমস্যার সুরাহা হবে? সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে বাসিন্দারা।
এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার কুলটি, শিমুলতলা, হিল কলোনি, ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দারা কারখানার গেট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ইস্কো কারখানার বিভিন্ন জায়গায় আবাসন আছে। পুরসভার পাশাপাশি ইস্কোর তরফে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। বহু দশক ধরেই এই জল সরবরাহ চলে। কিন্তু এবার সেই জল পাওয়া যাচ্ছে না। টাউনশিপ ও এলাকায় পর্যাপ্ত জল দিতে হবে। সেই জল না পাওয়া পর্যন্ত কারখানা চালু রাখতে দেওয়া হবে না। জোরালো দাবি এদিন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। গোটা বিষয়টির জন্য আধিকারিকরা ডিভিসির দিকে আঙুল তুলেছেন। দাবি, কারখানাই পর্যাপ্ত জল পাচ্ছে না।
কুলটি সেইল গ্রোথ ওয়ার্কসের চিফ জেনারেল ম্যানেজার আন্দোলনকারীদের জানিয়েছেন, ডিভিসি মাইথন থেকে যে জল ছাড়ে, তা পরিস্রুত হওয়ার পর সরবরাহ করা হয়। কারখানাতেও একই পদ্ধতিতে জল আনা হয়। প্রতিদিন টাউনশিপ ও কারখানায় মোট ১৪ হাজার কিউবিক মিটার জলের প্রয়োজন। সেখানে জল আসছে মাত্র দুই-তিন হাজার কিউবিক মিটার। জল না পাওয়ার কারণে কারখানার উৎপাদনেও প্রভাব পড়ছে। ডিভিসিকে ৬ ডিসেম্বর থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জিতেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও এদিন ফের ডিভিসিকে পর্যাপ্ত দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।