দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাগুইআটির পর নরেন্দ্রপুর। ফের 'দাদাগিরি' কাউন্সিলরের। দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীর নাবালক ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এখানেই থেমে যাননি তিনি, ওই দোকানে ভাঙচুর করার পর তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুব্রত সরকার নামে ওই ব্যবসায়ী। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর।
জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর স্টেশনের কাছে বাজারে সুব্রত সরকারের দুটি দোকান আছে। একটি বাসন ও অপরটি উপহার সামগ্রীর। তাঁর দাবি, দুটি দোকানেই ভাঙচুর করে তালা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর ছেলে তন্ময় সরকার বলেন, "উপহার সামগ্রীর দোকান খুলে বসেছিলাম। আমাদের এখানকার কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডল এসে দোকানের শাটার বন্ধ করতে বলেন। গালিগালাজ করেন। আচমকা চড়-থাপ্পড়, মাথার চুল ধরে টানেন তিনি। শাটারে লাথিও মারেন। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে বাঁচান। তারপর দোকানে তালা মেরে দিয়ে চলে যান।"
কিন্তু কেন হঠাৎ এই হামলা? ব্যবসায়ীর দাবি, দোকানের জায়গা দখল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছেন কাউন্সিলর। ব্যবসায়ী আরও বলেন, "সাত বছর আগেও আমার উপর হামলা হয়েছিল।" অভিযুক্ত কাউন্সলার অবশ্য বলছেন, "ওইটুকু বাচ্চা ছেলের গায়ে হাত দেব ! এখনও ১৭ পেরোয়নি। ভোটার লিস্টে নাম ওঠেনি। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বলুন আমি গায়ে হাত দিয়েছি কিনা।" এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আতঙ্কে দিন কাটছে ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের। ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে গোপন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।