শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পথ দুর্ঘটনা রুখতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগান তুলে প্রচার চলছে বিস্তর। অখচ মদের নেশায় বেসামাল হয়ে আসামীদের নিয়ে আদালতে চত্বরে পৌঁছে গেলেন খোদ পুলিশেরই গাড়ির চালক! গাড়ি নিয়ে সজোরে ধাক্কা মারলেন টোটোয়! ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জলপাইগুড়ি আদালত চত্বরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পুলিশের গাড়ির চালক এতটাই বেসামাল ছিলেন, যে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত গাড়ি চালককে উদ্ধার করে উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোতয়ালি থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে।
[রানাঘাটে তৃণমূল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাগান থেকে উদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ]
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গাড়ি চালকের নাম সুশান্ত রায়। তাঁর বাড়ি ময়নাগুড়িতে। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের প্রিজন ভ্যান চালান সুশান্ত। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি সংশোধানাগার থেকে পাঁচজন আসামীকে নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে এসেছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ির উপর কার্যত কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিল না সুশান্তবাবুর। জলপাইগুড়ি আদালত চত্বরে ঢোকার পর, প্রথমে একটি টোটোয় ধাক্কা মারেন তিনি। এরপরও কোনওরকমে গাড়িটি দাঁড় করান। সুশান্ত বাবু যেরকম বেসামাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যন্য বিচারপ্রার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটবাস্থলে ছুটে আসেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। প্রিজন ভ্যানের চালক সুশান্ত রায় যে মদ্যপ, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও-ই। খবর দেওয়া হয় কোতয়ালি থানায়। তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন কোতয়ালি থানার পুলিশকর্মীরা। নেশা কাটাতে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসে রাখা হয় সুশান্তকে। শুনানি শে্ষে ওই পাঁচ জন আসামীকে অন্য প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে ফের শিলিগুড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
[দেরিতে ট্রেন আসায় দীর্ঘক্ষণ অবরোধ গুসকরায়, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা]
থানায় বসে থাকতে থাকতেই একসময় নেশা কেটে যায় প্রিজন ভ্যানের মদ্যপ চালকের। নিজের ভুলও বুঝতে পারেন তিনি। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার, তা হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ। তবে শোনা যাচ্ছে, অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[মাতলার চরে বাঘের পায়ের ছাপ, উৎসাহে ডগমগ সুন্দরবনমুখী পর্যটকরা]
The post মদ্যপ অবস্থায় প্রিজন ভ্যানের স্টিয়ারিংয়ে, চালকের কীর্তিতে শোরগোল আদালতে appeared first on Sangbad Pratidin.
