শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সস্ত্রীক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার। অভিযোগ, স্ত্রীর ভোটদানের সময় ইভিএমের পাশেই দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহায্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী। ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরানো হয় ওই বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার শিশিররঞ্জন শিকারিকে। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ স্ত্রী শুভ্রাদেবীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার। বাড়ির কাছেই বালাস প্রাথমিক স্কুলই তাঁর ভোটদান কেন্দ্র। স্কুলে পৌঁছে সকলের মতোই সস্ত্রীক লাইনে দাঁড়ান বিজেপি প্রার্থী। নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রের ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ভোটদান করেন প্রার্থী। এরপরই সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, শুভ্রাদেবী ভোট প্রদানের জন্য ইভিএমের কাছে যেতেই কমলবাবুরও তাঁর সঙ্গেই যান। এমনকী স্বামীকে দেখিয়েই ভোট দিয়ে কক্ষ থেকে বের হন শুভ্রাদেবী। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বাধে গোল। গোটা ঘটনার খবর পৌঁছয় নির্বাচন কমিশনে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরিয়ে দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৬ নম্বর কেন্দ্র অর্থাৎ বালাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসারকে। জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার জেরে বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারকে শোকজ করেছে কমিশন।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচন LIVE: নির্বাচনী বিধিভঙ্গে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ কমিশনের]
যদিও এদিনের বিতর্কে এক ফোঁটাও বিচলিত নন বিজেপি প্রার্থী। উলটে সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, “বরাবরই আমরা যেখানেই যাই, একসঙ্গেই যাই। সকালে একসঙ্গেই ভোট দিতে গিয়েছিলাম। ভোট দিয়েও একসঙ্গে বের হই। স্ত্রীর পাশে ছিলাম, এতে সমস্যার কী।” এ প্রসঙ্গে শুভ্রাদেবী বলেন, “আমি নিজের ভোট নিজেই দিয়েছি। স্বামী পাশে ছিলেন, কিন্তু ভোটদানের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।” এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল প্রার্থী। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানাবেন, এমনটাও বলেন তিনি। কারণ যাই হোক, প্রার্থীর এহেন আচরণে হতবাক এলাকার বাসিন্দারাই।
[আরও পড়ুন: করিমপুরে দফায় দফায় আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ, লাথি মেরে ফেলা হল জঙ্গলে]
The post স্ত্রীকে ভোট দিতে সাহায্য, কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ নোটিস পাঠাল কমিশন appeared first on Sangbad Pratidin.
