অর্ণব আইচ: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আরও তৎপর ইডি। বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে তথ্যের খোঁজে অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তলব এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের। আগামী ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে তাঁকে। তবে সুকন্যা দিল্লিতে যাবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
গত আগস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। গ্রেপ্তারির পর নামে বেনামে থাকা তাঁর সম্পত্তি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত তদন্তকারীরা। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে প্রায় পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। সুকন্যা মণ্ডলের চারটি সংস্থার ‘অস্বাভাবিক’ আয় বৃদ্ধির উপর নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বুধবারই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যার সংস্থা এএনএম এগ্রোকেম ফুডস-এর আয় বৃদ্ধি নিয়ে সিবিআই নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। এই ব্যাপারে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে চায় সিবিআই।
[আরও পড়ুন: বাতিল পুরসভার বৈঠক, বউবাজারে মেট্রো বিপর্যয় নিয়ে আজ আলোচনা নবান্নে]
সুকন্যা (Sukanya Mandal)নিজেই কর্মকর্তা, এমন আরও তিনটি সংস্থার আয়ের উপর নজর তদন্তকারীদের। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি সংস্থার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে প্রত্যেক বছর লাফ দিয়ে আয় বৃদ্ধি হয়েছে সংস্থাগুলির। কীভাবে এই আয় বৃদ্ধি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরু পাচারের বিপুল টাকা লগ্নি হয়েছিল এই সংস্থাগুলিতে। সেই সূত্র ধরে অনুব্রত মণ্ডলের আয় বৃদ্ধির তথ্যের উপরও সিবিআই গুরুত্ব দিয়েছে।
সিবিআই দেখেছে, ২০১৩-১৪ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বার্ষিক আয় ছিল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭ টাকা। পরের বছর থেকেই এই আয় বৃদ্ধি হতে শুরু করে। ২০২১-২২ সালে সেই আয় বেড়ে হয় ১ কোটি ১ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৪ টাকা। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের আয় গত ২০১৩-১৪ সালে ছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৩৯৯ টাকা। ২০২১-২২ সালে ওই আয় বেড়ে হয় ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা। সুকন্যার মা প্রয়াত ছবি মণ্ডলের আয় ২০১৩-১৪ সালে যেখানে ছিল ৪ লক্ষ ৪৫ হজার ২৬০ টাকা, সেখানে ২০২০-২১ সালে ওই আয় গিয়ে দাঁড়ায় ৬১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৭০ টাকা। মণ্ডল পরিবারের প্রত্যেকটি আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ব্যাপারে সুকন্যা ও পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্যের হদিশ মিলবে বলে আশা সিবিআইয়ের।