রাজা দাস, বালুরঘাট: জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে খুড়তুতো ভাইয়ের হাতে খুন দাদা! শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, তপন থানার সরলবাটি নালিপাড়া এলাকায়। মৃতের নাম আবদুল করিম সরকার। ঘটনার পরেই প্রধান অভিযুক্ত আকবুল ফারুক মিয়াঁ ও তার পরিবার পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা অজগর মিঁয়া এবং আকবর মিঁয়া সম্পর্কে দুই ভাই। আকবরের ছেলে আকবুল ফারুক মিঁয়ার ছুরির ঘায়েই মৃত্যুর অভিযোগ আজগরের ছেলে আবদুল করিম সরকারের। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল অজগর মিঁয়া এবং আকবর মিঁয়ার পরিবারে। তবে মাস ছয়েক আগে ভাগ্নি জামাইয়ের মধ্যস্থতায় দাগের সমস্যায় থাকা জমিগুলি বদল করার সিদ্ধান্ত নেয় দু'পক্ষ। বলা হয়েছিল, অজগরের দখলে থাকা ৮০ শতক আকবরকে বদল করে দেওয়া হবে। একইভাবে আকবরের দখলে থাকা অন্য ৮০ শতক জমি অজগরকে ফেরত দেওয়া হবে। কিন্ত তা আর হয়নি।
অভিযোগ, কথা অনুযায়ী আকবর তাঁর জমিগুলি দাদা অজগরকে না দিয়ে নিজের ছেলেদের নামা লিখে দিয়েছে। এমনকী একটি পাঁচশতক জমি আকবর আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এদিকে শুক্রবার জমিতে গিয়েছিল দু'পক্ষই। সেখানে তর্কবিতর্ক থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। সেসময় নিজের পকেটে রাখা একটি ধারালো ছুরি বের করেন আকবুল ফারুক মিঁয়া! মূহূর্তে ওই ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আবদুল করিম সরকারের গলায়! ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ও তার পরিবার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে গুরুতর জখম আবদুল করিম সরকারকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান। হামলায় আক্রান্ত হন মৃতের ভাই আবদুল মান্নান সরকার। বর্তমানে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার খবর পেয়ে তপন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। মাঠে ছড়িয়ে থাকা তাজা রক্ত থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তপন থানার আইসি জনমেরি ভিয়ান্নে লেপচা জানান, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
