রমনী বিশ্বাস ও সঞ্জিত ঘোষ, তেহট্ট: মায়ের নামে থাকা সম্পত্তি লিখে দিতে হবে। মাকে সেজন্য চাপ দিচ্ছিল বাপ্পা মণ্ডল নামে এক যুবক। ভাইকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন দাদা। মাথায় আঘাত করে দাদাকেই খুন করল গুণধর ভাই। ন্যক্কারজনক ওই ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার হোগলবেড়িয়ার আড়তপুরের হরিপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাপন মণ্ডল (৩২)। হরিপুর গ্রামের একই বাড়িতে বাপ্পা ও বাপন মণ্ডল সপরিবারে মাকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন। তাঁদের বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। কিছু দিন আগেই মা সম্পত্তি, জমিজমা দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলেন। সামান্য কিছু জমি মায়ের নামে ছিল। কিন্তু সেই জমি ছোটছেলে বাপ্পা মণ্ডল নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে প্রায়শই চাপ দিতে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরেও প্রৌঢ়া মাকে একইভাবে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হছিল।
পেশায় গৃহশিক্ষক দাদা বাপন মণ্ডল সেইসময় বাড়িরে ফেরেন। ওই ঘটনা দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। ভাইকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই দুই ভাইয়ের মধ্যে শুরু হয়ে যায় প্রবল ঝামেলা। সেইসময় বাপ্পা দাদা বাপন মণ্ডলের মাথায় একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন। তাঁকেও একইভাবে মাথায় ওই একই কাঠ দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁরও মাথা ফেটে যায়।
স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই উদ্ধার করে প্রথমে করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে রাতেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ শনিবার সকালে মারা গিয়েছেন বাপন মণ্ডল। তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও উদ্বেগজনক। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভাইকে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।