শুভঙ্কর বসু: ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সর্ব সাকুল্যে প্রায় তিন কোটির চোরাই সোনা উদ্ধার হয়েছিল। বেআইনি মদ ধরা পড়েছিল সাড়ে তিন কোটির। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু সোনা ও মদ উদ্ধারের পরিসংখ্যানে আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ। শুধু তাই নয়। সোনা ও মদ উদ্ধারের নিরিখে দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের তালিকায় উঠে এল পশ্চিমবঙ্গ।
[আরও পড়ুন: কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ নয়, আইনি জটে প্রার্থী হতে পারছেন না হার্দিক প্যাটেল]
গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত সোনা উদ্ধারের নিরিখে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশের পরই পশ্চিমবঙ্গের স্থান চতুর্থ। পাশাপাশি মদ উদ্ধারে এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজ্য। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬.৫১ কোটি টাকার চোরাই সোনা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৫ লক্ষ লিটার মদ (দেশি ও বিদেশি)। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকা। এবার গোটা দেশে যে ১১০টি কেন্দ্রকে ‘আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে তাতে রাজ্যের একটি কেন্দ্রও নেই। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার ১৮ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এত বিপুল পরিমাণ সোনা ও বেআইনি মদ উদ্ধার হওয়ায় রীতিমতো কপালে ভাঁজ কমিশন কর্তাদের।
সূত্রের খবর, দু’দিন আগে গোটা বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে একটি বৈঠকে বসে কমিশন। রাজ্যে বেআইনি সামগ্রী উদ্ধারের কাজে নিযুক্ত সমস্ত এজেন্সি যেমন বিএসএফ, আয়কর দপ্তর, রাজ্য পুলিশ, শুল্ক দপ্তর ও আবগারি দপ্তর এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থাকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বিহারে মহাজোট, কানহাইয়াকে আসন ছাড়লেন না তেজস্বী]
যদিও রাজ্যের এই সাফল্যকে ভাল চোখেই দেখছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের কর্তারা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “এই তথ্যই প্রমাণ করে রাজ্যে নজরদারির কাজ ভালই চলছে।” নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মোট ১৭৬ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে তামিলনাড়ু থেকে উদ্ধার হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৮ কোটি টাকার সোনা। এর পরের স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। উদ্ধার হয়েছে মোট ৫৯.৪ কোটির সোনা। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০ কোটির সোনা। তার পরের স্থানেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কর্ণাটক থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ১৯.৮৮ কোটি টাকার বেআইনি মদ। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশে ২২.২৫ কোটি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১২ কোটি, এবং মহারাষ্ট্রে ৯.৭১ কোটি টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার হয়েছে। এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজ্য।
The post ভোটের মুখে নয়া পরিসংখ্যান, বেআইনি সোনা ও মদ উদ্ধারে প্রথম পাঁচে বাংলা appeared first on Sangbad Pratidin.
