বাবুল হক, মালদহ: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের অভিযোগ। সেই টাকা ফেরত চেয়ে গণরোষ আছড়ে পড়ল মালদহের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের উপর। স্বপন মিশ্র নামের ওই ব্যক্তিকে চেয়ারে বসিয়ে ব্যাপক মারধর (Lynching) চলল। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিওর (Viral Video) সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’।
চেয়ারে বসিয়ে কলার ধরে ব্যাপক মারধর! মালদহ (Maldah) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন বসুকে গণপ্রহারের সেই ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। নিগৃহীতের আরও একটি পরিচয় হল, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য। জেলা পরিষদের সদস্য পদের মেয়াদ ফুরিয়েছে মাত্র তিন মাস আগেই। নেতাকে এভাবে মারধর, হেনস্তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হতেই বৃহস্পতিবার মালদহের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’।
[আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপ, মাধ্যমিকে না থাকলেও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়া যাবে বৃত্তিমূলক বিষয়]
কী অপরাধ ইংলিশবাজার গ্রামীণ এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি স্বপন মিশ্রের? ইংলিশবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, স্বপন মিশ্রের কাছে বহু মানুষের পাওনা লক্ষ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার চার থেকে পাঁচটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। নিজের পদ আর ক্ষমতার জোরে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’র দিনই অভিষেককে তলব ইডির]
মাত্র ৪৭ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ঘরের ভিতর চেয়ারে বসে রয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন ‘প্রতারিত’ এক যুবক। ‘তুই-তুকারি’ করতেও শোনা যাচ্ছে। একটাই প্রশ্ন, ‘‘সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাটা কই? বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’’ মার খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে স্বপন মিশ্র শুধু বলছেন, ”এখন টাকা দিতে পারব না, সময় দিতে হবে।”
আর এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। ২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (DPSC) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল। একজন বা দুজন নয়, তাঁর বিরুদ্ধে এই রকম অসংখ্য ব্যক্তির অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার অনেকেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।