অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসত কলেজের ইউনিয়ন রুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নিচে বসে মদ্যপান করছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। বিষয়টি দেখে প্রতিবাদ করলে হামলায় চোখে গুরুতর আঘাত পান টিএমসিপির প্রাক্তন এক নেতা। এমনই অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা সদরে। আক্রান্ত নবকিশোর মণ্ডল এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। তবে কোনও সুরাহা না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানান। তাতেও ফের তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয় বলেই অভিযোগ। এবিষয়ে সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “বিষয়টি জানা নেই, খোঁজ নিতে হবে। যদি কেউ এরকম কাজ করে থাকে তাহলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তি পাবে। মারধরের অভিযোগ প্রশাসন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা নবকিশোর মণ্ডল ২০১৭ সালে বারাসত কলেজ থেকে পাশ করেন। তিনি এই কলেজের গেম সেক্রেটারি ছিলেন। ২০১৮ সালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিটের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও ছিলেন। কালীপুজোর ক’দিন জমজমাট থাকে বারাসত শহর। অভিযোগ, সেই সময় ভাইফোঁটার রাতে কলেজের ইউনিয়ন রুমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নিচে বসে কয়েকজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বহিরাগতদের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। বিষয়টি দেখে ফেলেন নবকিশোর। প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁকে মদ্যপ ওই ছাত্রনেতারা মারধর করে বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ হবেই! নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফের বিস্ফোরক অনন্ত মহারাজ]
নবকিশোরের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসা করান। তারপর বারাসত থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু সুরাহা না হলে ফেসবুকে ঘটনার কথা লিখে পোস্ট করেন। তারপরই ফের প্রাক্তন টিএমসিপি নেতাকে হুমকির মুখে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ। পরে ঘটনাটি আক্রান্ত যুবক সকলকে জানালে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে বারাসত কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা নবকিশোর বলেন, “আমি দলকে ভালোবাসি। তাই বারাসত কলেজের ভিতরে নোংরামি করার প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হয়েছি। ফেসবুকে পরে এর প্রতিবাদ করলে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে।”
ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এবিষয়ে বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “ভাবতে অবাক লাগে কলেজের ইউনিয়ন রুমের ভিতরে ছাত্রনেতারাই মদের আসর বসিয়েছে। এর জেরে আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বও শুরু হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”