অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কোলের শিশুকে কুপিয়ে খুন বাবার। মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে কোপাতে উদ্যত হয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু হাত ফসকে কোপ পড়ে যায় মায়ের কোলে থাকা একরত্তির গলায়। শনিবার দুপুরে পূর্বস্থলীর এমনই এক নৃশংস ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃতের নাম রকি রায়(৪)। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী থানার বড়েয়া কমলাপুর এলাকায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম স্ত্রীকেও ভরতি করা হয় নবদ্বীপের প্রতাপনগর হাসপাতালে। পূর্বস্থলী থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী দেবাশিস রায় ওরফে তোতনকে গ্রেপ্তর করেছে।
[আরও পড়ুন: ISF-BJP আঁতাঁত নিয়ে সুর আরও চড়াল তৃণমূল, ভোট মিটলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি]
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের বড়েয়া কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা দেবাশিস রায়। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। গত রবিবার তাঁর বাবা পাঁচু রায়ের মৃত্যু হয়। বাবার সৎকারের পর তাঁকে কাছা (সাদা কাপড়) পরতে হয়েছিস। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই শোকের আবহেও মদ্যপান করছিলেন তিনি। স্ত্রী আল্পনা রায় প্রতিবাদ করায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দেবাশিস। স্ত্রীকে মারতে গিয়ে কোলে থাকা চার বছরের শিশুর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ পরে যায়। আল্পনার ডাকে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গেলে শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্তর কাকা স্বপন রায় বলেন,“কয়েকদিন আগে দাদা মারা যান। সৎকারের সময় ভাইপো মদ্যপান করায় ওর স্ত্রী প্রতিবাদ করে। এরপরেই তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হলে কোলে থাকা শিশুর উপর কোপ পরে। সে মারা যায়। বউমাও মুখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।” যদিও অভিযুক্ত জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, স্ত্রীকে ফল কেটে দিতে বললে আল্পনাদেবী তখন তাঁর ছোটো ছেলে রকিকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। ব্যস্ত থাকায় খেতে দিতে দেরি হয়। সেই রাগেই স্ত্রীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে।
