রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কাটার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই বিষয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে হতবাক বনদপ্তরের কর্মী-আধিকারিকরা। গ্রামের বহু বাড়িতেই কাটা গাছের অংশ পাওয়া গেল। শুধু তাইই নয়, অনেক বাড়িতেই আসবাব তৈরির ছোটখাটো কারখানাও দেখা গিয়েছে। কবে থেকে এই কাজকর্ম চলছে? কাদের মদতে এই জঙ্গল ফাঁকা করা হচ্ছে? প্রশাসন এত দিন কী করছিল? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের পাইটকাপাড়া গ্রামে অভিযান চালায় বন দপ্তর। আলিপুরদুয়ার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীও এই অভিযানে যোগ দিয়েছিল। পাইটকাপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে রীতিমতো হতবাক বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বহু বাড়িতেই কাটা গাছের অংশ মজুত করা রয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক বাড়িতেই কাঠের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির কাজ চলছে। একাধিক তৈরি জিনিসপত্র ডেলিভারিতে যাওয়ার অপেক্ষাতেও রয়েছে বলে দেখা যায়। গোটা এলাকাজুড়েই কুটিরশিল্পের আদলে কারখানার পরিবেশ গড়ে উঠেছে। এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে।
গোপন সূত্রেই খবর পেয়ে এদিন সকালে বনদপ্তরের আধিকারিকরা হানা দিয়েছিলেন। ঘণ্টা আড়াই ধরে ওই এলাকায় অভিযান চলে। উদ্ধার করা হয়েছে ফার্নিচার ও গাছের গোলাই, লক। এছাড়াও চেরাই কাঠও উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় কাঠের সেসব জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বড় বড় গাছের লক উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাঠের মূল্য ৫০ লক্ষের বেশি বলে প্রাথমিক অনুমান বন দপ্তরের।
ঘটনা নিয়ে এলাকারা বাসিন্দারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেন তাঁরা এভাবে গাছ কাটছেন? কাদের মদত রয়েছে? সেই বিষয়ে কোনও কিছুই কেউ বলতে চায়নি। তবে গাছ কাটার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠছিল। তেমনই বলছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিনে অভিযানের পর নড়েচড়ে বসেছে বনদপ্তরের আধিকারিকরাও। ঘটনায় এদিন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে এমন অভিযান আগামী দিনে আরও চলবে। এই কথা জানানো হয়েছে।