অরূপ বসাক, মালবাজার: এটিএম জালিয়াতিদের খপ্পরে পড়লেন খোদ লালবাজারের এক পুলিশকর্মী। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী।অভিযোগকারিনীর দাবি, তাঁর স্বামীর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মালবাজারের ওদলাবাড়িতে।
[বাগনানে স্কুলের মাঠে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, আহত ২ ]
আদিবাড়ি মালবাজারের ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে গজলডোবায়। তবে কর্মসূত্রে সস্ত্রীক কলকাতায় থাকেন গোপাল বৈদ্য। কলকাতা পুলিশের চাকরি করেন তিনি। পোস্টিং লালবাজারে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে গজলডোবায় এসেছেন গোপাল। বুধবার সকালে বাজারে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। ফোনটা বাড়িতেই ছিল। গোপাল বৈদ্যের স্ত্রী মৌসুমির দাবি, স্বামী বেরিয়ে যাওয়ার পর তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনটি তিনিই ধরেছিলেন। যে ফোন করেছিল, সে বলে, ‘তাড়াতাড়ি এটিএমের পিন নম্বরটি বলুন। না হলে অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যাবে।’ ঘাবড়ে গিয়ে পিন নম্বরটি বলেও দেন মৌসুমি বৈদ্য। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৫০ হাজার টাকা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালবাজার থানা পুলিশ।
শুধু মালবাজারে নয়, গোটা রাজ্যে ফোন করে এটিএম সংক্রান্ত তথ্য জেনে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তো বটেই, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশও। কিন্তু, তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। বরং প্রতারিত সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এবার এটিএম জালিয়াতিদের খপ্পরে পড়লেন খোদ এক পুলিশকর্মীই।
[কাঁঠাল গাছ থেকে বেরোচ্ছে জলের মতো তরল! অবাক কাণ্ড রানিনগরে]
