জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে পদত্যাগ। বনগাঁ পুরসভার প্রধানের পদ ছাড়ছেন গোপাল শেঠ (Gopal Seth)। আজ, বুধবার সকালে ওই তিনি ইস্তফাপত্র পেশ করেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কাউন্সিলররা এলাকায় বিজয় মিছিল করেন বলে খবর। যদিও ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর গোপাল শেঠ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বনগাঁ পুরসভার অচলাবস্থা আগামী দিনে কাটবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাজ্যের শাসকদল দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ (Bangaon) পুরসভায় ক্ষমতায় রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন গোপাল শেঠ। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কয়েক মাস আগে তৃণমূলের তরফ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার প্রধানদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে নির্দেশ দেয়। অন্যান্য পুরসভার প্রধানরা পদত্যাগ করেন। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকেও পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও এই ধরনের নির্দেশ পাননি বলে গোপাল শেঠ জানিয়েছিলেন। তবে পুরসভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অচলাবস্থা দেখা দিতে শুরু করে। এদিকে পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলররাও ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। তবুও গোপাল শেঠ পদত্যাগ করছিলেন না বলে অভিযোগ।
পুরসভার কাউন্সিলররা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। সেই প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হওয়ারও কথা ছিল। তার আগেই শেষপর্যন্ত নিজেই পদত্যাগ করলেন গোপাল শেঠ। এদিন তিনি ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে খবর। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "গোপাল শেঠের অনেক আগেই দলের সিদ্ধান্ত মেনে পদত্যাগ করা উচিত ছিল। শেষপর্যন্ত তাঁকে পদত্যাগ করতেই হল। তবে এতে নিজের ভাবমূর্তিটাই নষ্ট করেছেন গোপাল শেঠ।" তিনি আরও বলেন, "আজ মানুষের মধ্যে যে উছ্বাস ছিল তাতেই বোঝা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করবে। পুরপ্রধান হিসেবে গোপাল শেঠ যে ব্যর্থ, তা বনগাঁর মানুষের কাছে পরিষ্কার। আজ কাউন্সিলরেরা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে অংশ নিচ্ছেন। যতক্ষণ না নতুন পুরপ্রধান নির্দিষ্ট হচ্ছে, ততক্ষণ পুরসভার আধিকারিকেরা পুরসভা পরিচালনা করবেন।"
