ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: লকডাউনে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি কাটাতে রাস্তার নেমে গান গেয়ে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সাদা পোশাকের দেখানোর পথ ধরেই হেঁটেছেন খাকি উর্দিধারীরাও। একই উদ্যোগ শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে দিন দুই আগে সোদপুরের একটি আবাসনের নিচে সুরে সুরে করোনা সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি মানুষজনকে ঘরে থাকার আহ্বান মুখরিত হয়েছিল পুলিশের কণ্ঠে। এবার একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। তবে আরও বড় পরিসরে। হাবড়ার বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরে পুলিশ কর্তারা গাইলেন লোকগান।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে বেনজির উদ্যোগ, মহিলাদের বাড়িতে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিল SFI]
আগে দেখা গিয়েছিল, হিন্দি ও বাংলা গানের প্যারোডি করে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। কখনও জনপ্রিয় সিনেমার গান, কখনও বা অ্যালবামের গানে কথা বদলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ কথা বসিয়ে গাওয়া হচ্ছিল গান। ট্র্যাকে মিউজিক বাজিয়ে করোনা সচেতনতা গান ধরেছিলেন তাঁরা। তবে হাবড়ায় ভিন্ন স্বাদের পরিবেশনা দেখা গেল। ট্র্যাক নয়, লোক সংগীতের বাদ্যযন্ত্র অর্থাৎ ঢোল, কাঁসর নিয়ে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে গান ধরলেন হাবড়া পুলিশ অফিসাররা। প্রচলিত কিছু লোকগীতির কথা বদলে এল করোনা সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক কথা। লোক সংগীতের সুরেই চলল প্রচার। এভাবেই রাজ্য পুলিশের কর্তারাও নামলেন পাড়ায় প্রচারে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে বাংলার শ্রমিকরা, সাহায্যের হাত বাড়াল হ্যাম রেডিও]
সোমবার উত্তর হাবড়ার পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে গান শোনালেন হাবড়া থানার অফিসার, কনস্টেবলরা। ভাইরাসের ভয়াবহতা বোঝাতে এক পুলিশকর্মীকে করোনারূপী দানব সাজানো হয়। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গানের মাধ্যমেই হাবড়ার ঘুরে মানুষকে ঘরে থাকার বার্তা দিল পুলিশ।সেই বার্তায় সাড়া দিয়ে পাড়ার সকলে যে যার বাড়ির জানলা, বারান্দা থেকেই দেখলেন গায়ক হিসেবে পুলিশের এই ভূমিকা। আনন্দও পেলেন। কলকাতা কিংবা সোদপুরে দেখা গিয়েছিল, পুলিশের এই সংগীত পরিবেশনে সময়ে অনেকেই বাইরে বেরিয়ে এসে ভিডিও করছেন। অর্থাৎ, যাঁদের ঘরে রাখার জন্য পুলিশের এই উদ্যোগ তাঁরাই বাইরে। কিন্তু হাবড়ার পাড়াগুলিতে কাউকে বাইরে বেরতে দেখা গেল না। নিরাপদ দূরত্বে থেকেই তাঁরা আনন্দ নিলেন। হাততালির মধ্যে দিয়ে উৎসাহ দিলেন পুলিশকে।
শুনুন গান:
The post লোকসংগীতের সুরে করোনা প্রচার, লকডাউনে ঘরবন্দি রাখতে হাবড়ায় গান শোনাল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
