রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মঙ্গলবার দুপুরে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক, রাতে আরএসএসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোর কমিটির বৈঠকে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এসআইআরে নাম বাদ পড়া নিয়ে অমিত শাহর কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এসআইআরে হিন্দুদের নাম বাদ যাচ্ছে বলে আশঙ্কার কথা শাহর কাছে তুলে ধরেন কয়েকজন নেতা। তাদের শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "সেটা আমার দায়িত্ব, আমি সামলে নেব। এর মধ্যে আপনারা ঢুকবেন না।"
এসআইআরে হিন্দুদের নাম বাদ পড়া ও মতুয়া সমস্যা নিয়ে আশঙ্কার বিষয়টিই এদিন উঠে আসে বৈঠকে। বৈঠকে রাজ্য নেতাদের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই বলা হয়, মতুয়াদের মধ্যে একটা আতঙ্ক রয়েছে ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কি তা নিয়ে। রাতে আরএসএসের সঙ্গে শাহর বৈঠকেও মতুয়া ও তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি উঠে আসে। এদিকে, জেলায় জেলায় সংগঠনের ঘাটতি, কোন্দল দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার জন্য কোর কমিটির বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে দলের নিচুতলায় দলের সংগঠনের দুর্বলতা, সমন্বয়ের অভাব যে রয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দলীয় সূত্রে এমনটা খবর।
মঙ্গলবার সল্টলেকের একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকের পর সেখানেই দলের কোর কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরাও ছিলেন বৈঠকে। শাহ বলেছেন, জিততেই হবে নির্বাচনে। কোনওরকম খামতি রাখলে হবে না। জেলায় জেলায় গিয়ে সেখানকার নেতা-কর্মীদের কথা শুনতে হবে। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সেটিং নেই, দলের মধ্যে যাদের এই ধারণা রয়েছে সেটা কাটাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংগঠনের কাজে কোনও নেতার যাতে ঢিলেমি না থাকে তা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন শাহ।
এই বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও জোনের দায়িত্বে আসা পর্যবেক্ষকরাও। আরেকটি হোটেলে রাতে আরএসএসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে শাহ ছাড়াও ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে রাজ্য নেতাদের কাউকে ডাকা হয়নি বলেই খবর।
