সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: SIR-এ কত অনুপ্রবেশকারী, কত রোহিঙ্গা ধরা পড়ল? ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপান্সি’ বা নামে অসঙ্গতির নামে কাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? কোন যুক্তিতে বাংলার ১ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নির্বাচন কমিশন? সব প্রশ্নের জবাব পেতে বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্ব খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর অভিষেক ছাড়াও ওই প্রতিনিধি দলে আরও ৯ সাংসদ ও মন্ত্রী থাকছেন। তাঁরা হলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিমুল হক, প্রদীপ মজুমদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মমতা ঠাকুর, সাকেত গোখলে এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর একটি সাংবাদিক বৈঠকও করবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সবটারই নেতৃত্বে থাকবেন অভিষেক।
মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি এক থেকে দেড় কোটি নাম বাদ যাবে বলে বারবার দাবি করেছে। কমিশন বিজেপির দেওয়া টার্গেট পূরণে নেমেছে। এই ১ কোটি ৩৬ লক্ষ নামের তালিকা কমিশনকে দেখাতেই হবে। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই বুধবার জ্ঞানেশের মুখোমুখি হচ্ছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা। সঙ্গে থাকবে ১০ জনের প্রতিনিধিদল। এসআইআরের আতঙ্ক নিয়ে অভিষেক বিজেপিকে দায়ী করে বলেছেন, “ওদের জন্য ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী? কমিশন কেন এখনও বলছে না, এদের মধ্যে ক’জন রোহিঙ্গা, ক’জন বাংলাদেশি? যাদের জন্য অনুপ্রবেশ হচ্ছে সেই আইবি চিফ তপনকুমার ডেকার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে কোন কারণে? কী লুকোতে চাইছেন?”
এর আগে গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে অভিষেক এই দিল্লি চলো অভিযান ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "১৬ ডিসেম্বরই ওরা বলে দিল যে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ নামে অসঙ্গতি রয়েছে। ওদের কাছে কোন জাদুকাঠি রয়েছে যে, ৮০ হাজার বিএলওকে দিয়ে সাত কোটি ডেটা একদিনে যাচাই করে দিল। অসঙ্গতির হিসাব দিয়ে দিল।” এই সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ না করতে পারলে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
