কৃষ্ণকুমার দাস: সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। নতুন বছরের শুরুতে তা কার্যকর করল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। কোভিড (COVID-19) মোকাবিলায় লাগাতার ভাল কাজের পুরস্কার হিসেবে ভোটের আগে পুরসভার অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাতা বাড়ানো হল। টুইট করে সুখবর ঘোষণা করলেন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এর জেরে উপকৃত হবেন রাজ্যের মোট ১১২ টি পুরসভা ও ৭টি পুরনিগমের প্রায় ৪২ হাজার অস্থায়ী কর্মী।
করোনা কালে ঝুঁকি নিয়েও নিরন্তর কাজ করেছেন পুরসভার অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা(Health workers)। জরুরি পরিষেবার মতো গুরুত্ব দিয়ে করোনা পরীক্ষা-সহ একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন তাঁরা। বিপদকে তুচ্ছ করে জনগণের প্রতি দায়িত্বপালনে তাঁদের এই নিষ্ঠা নজর এড়ায়নি দপ্তরের কর্তাদের। তাই গত ১৪ ডিসেম্বর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে এই পরিস্থিতিতে এত ভালভাবে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের ভাতাবৃদ্ধির কথা ভাবছে দপ্তর। এক মাস কাটতে না কাটতেই অর্থদপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে তা কার্যকরা করা হল। জানা গিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায় ৪৪ থেকে ৯৫ শতাংশ বাড়তি ভাতা পাবেন। বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের ভাতাবৃদ্ধির হার বিভিন্ন।
[আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের সামর্থ্য নেই, প্রশাসনের উদ্যোগে নিঃসন্তান বৃদ্ধার বাড়িতে পৌঁছল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড]
পুরসভায় যাঁরা অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করছেন, তাঁরা ৩১২৫ টাকা করে ভাতা পেতেন। টুইটারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই কর্মীদের ভাতা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫০০ টাকা। প্রথম স্তরের সুপারভাইজারদের ভাতা ছিল ৩৩৩৮ টাকা। এখন থেকে তাঁরা পাবেন ৬৫০০ টাকা, শতকরা হিসেবে যা আগের চেয়ে প্রায় ৯৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া দু’ক্ষেত্রেই অবসরকালীন ভাতার অঙ্কও বাড়ানো হল। আগে তা ছিল ২ লক্ষ টাকা। এখন থেকে পুরসভার সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা অবসরকালীন ভাতা হিসেবে হাতে পাবেন ৩ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: বৈঠকে মেলেনি আমন্ত্রণ, আচমকা উপস্থিত হয়ে অভিমানে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল নেত্রী]
স্বাস্থ্যকর্মীদের শুধু এই সুখবর দেওয়াই নয়, টুইটে তাঁদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে পুরমন্ত্রী লিখেছেন, ”করোনা সংকটকালে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে তাঁরা আমাদের জন্য কাজ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, নাগরিক জীবনে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”