shono
Advertisement
Hooghly

দোকান বন্ধ রেখে যেতে হবে তৃণমূলের সভায়! 'একুশে' হুঁশিয়ারিতে চাঞ্চল্য চুঁচুড়ায়

বিষয়টি গুরুতর আকার নিতেই করজোড়ে বিনয়ের সুর ঝরে পড়ল তৃণমূল কর্মীর গলায়।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 12:15 AM Jul 21, 2024Updated: 12:15 AM Jul 21, 2024

সুমন করাতি, হুগলি: দোকান বন্ধ রেখে একুশে জুলাইয়ের সভায় যেতে হবে, এলাকায় এমন 'একুশে' নির্দেশনামা জারি করে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যে থেকে রীতিমতো শোরগোল শুরু হল চুঁচুড়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। বিষয়টি গুরুতর আকার নিতেই করজোড়ে সুর বদলাতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মীকে। হুঁশিয়ারি বদলে গেল অনুরোধের সুরে।

Advertisement

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা দখল করে দোকান তৈরি নিয়ে সরব হয়েছেন। এরপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় ফুটপাথ ফাঁকা করতে নেমেছে পুর কর্তৃপক্ষগুলি। যদিও চুঁচুড়া শহরে সেই ছবি দেখা যায়নি। রাস্তার পাশে থাকা সেই সমস্ত বেআইনি দোকানদের তোলা না হলেও শনিবার সন্ধ্যায় এলাকার তৃণমূল কর্মী নারান দাস সেই সমস্ত দোকানদারদের একুশে জুলাইয়ের সভায় যেতে হবেই বলে জানিয়ে দেন বলে অভিযোগ। দোকানদাররা বিষয়টিকে ভালভাবে নেননি। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতিবাদে সামিল হন।

[আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ডাক, রাজ্যজুড়ে আলুর জোগানে টান]

বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্ত নারানকে করজোড়ে এক মহিলা দোকানির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও সে সময় রীতিমতো বিনয়ের সুরে নারাণ বলতে থাকেন আমি ওইভাবে বলিনি। আমি বলেছি দিদি, কালকে চলুন সবাই মিলে আমরা যাই। নারাণ এ দিন সংবাদমাধ্যমের সামনেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। যদিও একাধিক দোকানদাররাই নারাণের বিরুদ্ধে সরব হন।

[আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে জ্বলছে বাংলাদেশ, পরিস্থিতি জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যোগাযোগ ‘সতর্ক’ নবান্নের]

অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর মিতা চ্যাটার্জিও নারাণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, 'এটা তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের ব্যাপার, নারাণ ইউনিয়নের সম্পাদক, হয়তো বলেছে দোকানটা বন্ধ রাখুন চলুন, হয়তো বলাটা জোর করেই বলেছে যে দোকানটা বন্ধ রাখুন, কারণ এখন তো আমাদের বনধ হয় না!'

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দোকান বন্ধ রেখে একুশে জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল কর্মীর।
  • এই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যে থেকে রীতিমতো শোরগোল শুরু হল চুঁচুড়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে।
  • বিষয়টি গুরুতর আকার নিতেই করজোড়ে সুর বদলে ফেললেন তৃণমূল কর্মী।
Advertisement