মনিরুল ইসলাম, হাওড়া: হিয়ারিংয়ের নোটিস পাওয়ামাত্রই মনে জাঁকিয়ে বসেছিল দেশছাড়া হওয়ার ভয়। মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল গ্রামীণ হাওড়ায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শেখ জামাত আলি। বয়স ৭০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়ায় থাকেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার তাঁর। এক ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃদ্ধ ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। পরিবারের দাবি, প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোট দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু নাম ছিল না ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে। স্বাভাবিকভাবেই হিয়ারিংয়ের নোটিস পান তিনি। রবিবার বিকেলে বিএলও গিয়ে শেখ জামাত আলিকে জানান, তাঁকে শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে। নথি হিসেবে পুরনো ব্যাঙ্কের বই হাতের কাছে রাখার কথা বলেন তিনি।
হিয়ারিংয়ের ডাক পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। পুত্রবধূ জানান, তারপর থেকে বারবার জামাত আলি প্রশ্ন করেন, "আমায় বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে?" রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই এই পরিণতি বৃদ্ধের। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসআইআর শুরুর পর থেকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। কেউ আবার ভয়ে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কাজের চাপে একাধিক বিএলও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
