সুমন করাতি, হুগলি: হুগলিতে এসআইআর-এর শুনানিতে সমস্যা। বিএলএ ২ দের শুনানিতে রাখতে হবে, না হলে বন্ধ থাকবে শুনানি। এমনই দাবি তুলে শুনানি বন্ধ করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ চুঁচুড়া-মগড়া ব্লক অফিসে এসআইআর-এর শুনানি বন্ধ করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। শুনানিতে আসা প্রচুর মানুষ লাইন দিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে গেট বন্ধ থাকে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে। ঘটনাস্থলে আসে মগরা থানার পুলিশ।
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "আমরা এই ধরনের শুনানি পদ্ধতির বিরুদ্ধে। যাকে তাকে যে কোনও অবস্থায় হিয়ারিং করে দেওয়া হচ্ছে। যারা সরকারি কর্মচারী দীর্ঘদিন সরকারি কাজ করেছেন, অবসর নিয়েছেন, পেনশন পান, তাদেরকে হিয়ারিং-এ ডাকা হচ্ছে।" তিনি আর বলেন, "যাদের পাসপোর্ট রয়েছে, যাদের ২০০২ এর ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে তাদের হিয়ায়ারিং-এ ডাকা হচ্ছে। এটা চরম অব্যবস্থা, মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অনেক বয়স্ক মানুষ আছে তারা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে।"
বিধায়ক বলেন, "আমাদের প্রশ্ন বিএলএ টু তারা কেন হিয়ারিং-এ থাকবে না। স্বচ্ছতা আনতে হলে বিএলএ টুদের রাখতে হবে। বিএলএ টু-দের না রেখে কোনও শুনানি করা যাবে না।" তিনি দাবি করেন, শুনানিতে বিএলএ ২ রা থাকতে পারবে না সেটা লিখিত দিতে হবে কমিশনকে।
বিধায়কের দাবি, "বিএলএ টু-রা থাকবে না অথচ মানুষের নাম বাদ হবে, এটা চলবে না। একটাও আসল ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। তার জন্য আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নির্দেশ দেবেন আমরা সেভাবে লড়বো।"
ঘটনাস্থলে যান মগড়া থানার আইসি সৌমেন বিশ্বাস। চুঁচুড়া-মগ়ড়ার বিডিও রাজীব পোদ্দারও বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরে প্রায় দু'ঘন্টা বাদে শুনানির কাজ শুরু করতে দেন বিধায়ক।
সোমবার শুনানির কাজ খতিয়ে দেখতে মগরাহাটের শিরাকোল হাই স্কুলে যান জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক সি মুরুগান। শোনা যাচ্ছে, হিয়ারিংয়ে কেন বিএলএ ২ দের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুরুগান। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ।
