অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার আবর্জনা, জঞ্জাল পরিষ্কার তোলার কাজ শুরু হল। হাওড়ার সব আবর্জনা আপাতত কলকাতা ধাপার মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে। হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গতকাল নোংরা ফেলা নিয়ে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি, বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল।

হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড় সংলগ্ন এলাকায় ধসে নেমেছে। এলাকার রাস্তা, বাড়িগুলিতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক বাড়ি ভেঙেও পড়েছে। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ঝাঁঝালো মিথেন গ্যাস। গোটা ঘটনায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আপাতত স্থায়ী ঠিকানা হারিয়ে দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম হাওড়ার ওই এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। বেলগাছিয়ায় এখন আবর্জনা ফেলা যাবে না। সেই কথাও জানানো হয়।
মঙ্গলবারই পুরমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে আর আবর্জনা না ফেলে হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুলিশ অ্যাকাডেমি ও হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়, ফুটবল অ্যাকাডেমির পাশে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ফাঁকা জমিতে মাস দেড়েকের জন্য জঞ্জাল ফেলা হবে। সেই মতো পুরসভার গাড়ি গতকাল বুধবার ওই এলাকায় আবর্জনা নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ওই এলাকায় নোংরা ফেলতে দেওয়া হবে না। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত আবর্জনা সমেত গাড়ি সেখান থেক ফিরে যায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় আর্বজনা জমতে থাকে বলে অভিযোগ। হাওড়ায় প্রতিদিন কয়েক টন আবর্জনা জমা হয়। সেসব তাহলে কোথায় ফেলা হবে? সেই প্রশ্ন ওঠে।
পরে সিদ্ধান্ত হয় হাওড়ার আবর্জনা কলকাতার ধাপার মাঠে ফেলা হবে। সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়ার আবর্জনা তোলার কাজ শুরু হল। সকাল থেকেই গাড়ি নোংরা বোঝাই করে কলকাতার ধাপার মাঠের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। আজ দিনভর এই কাজ চলবে বলে খবর। আবর্জনা ফেলার জায়গা স্থির না হওয়া পর্যন্ত ধাপার মাঠে নোংরা ফেলা হবে। সেই কথা জানানো হয়েছে।