অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। চিকিৎসাও চলছিল। মঙ্গলবার, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনেই, পরীক্ষাকেন্দ্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল এক পরীক্ষার্থী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের পিংলায়।
[ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব বাবুল সুপ্রিয়]
মৃত ছাত্রীর নাম সংগীতা দাস। বাড়ি, পিংলার কুলটাপাড়া গ্রামে। স্থানীয় সাহরদা কালিপদ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী ছিল সংগীতা। এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল সে। সিট পড়েছিল পিংলারই পিণ্ডরুই হাই স্কুলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা আগেই পিণ্ডরুই হাই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল সংগীতা। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে ঢোকার মুখে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়ার হয় শিক্ষকদের ঘরে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত এলাকারই এক চিকিৎসককে ডেকে আনেন পিণ্ডরুই হাই স্কুলের শিক্ষকরা। সংগীতাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আর মেলেনি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সংগীতা দাস। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল সে।
মৃতার পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সংগীতার যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়ে। মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তাঁরা। অসুস্থতাকে সঙ্গী করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সংগীতা। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। ঘটনায় শোকের ছায়া পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার কুলটাপাড়া গ্রামে। মেয়ের মৃত্যুর শোকের দিশেহারা অবস্থা সংগীতার বাবা-মায়ের।
ছবি: সৈকত পাঁজা
[‘ছেলেধরা বলে রটিয়ে মেরে ফেলবে’, গণপিটুনির ঘটনায় আতঙ্কে ভিক্ষুকরাও ]
The post মর্মান্তিক! পরীক্ষাকেন্দ্রেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর appeared first on Sangbad Pratidin.
