নন্দন দত্ত, বীরভূম: ৫০ হাজার ডেটোনেটর, ১১ হাজার জিলেটিন স্টিক ও অ্যামোনিয়া নাইট্রেট। বীরভূমের নলহাটি থেকে উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে নলহাটির থানার পুলিশ। আটক আরও এক। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাহাদুর গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। মঙ্গলবার পাচার করার সময়ে বমাল ধরে পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পাথর খাদানের ব্যবহারের জন্যই চোরাপথে বিস্ফোরক পাচার করা হচ্ছিল। তদন্তে নলহাটি থানার পুলিশ।
[আট বছরের শিশুর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ]
বীরভূমের নলহাটির বাহাদুর গ্রামে বাড়ি আঙুর শেখের। পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করে রাখতেন তিনি। সুযোগ বুঝে গাড়ি, এমনকী, বাইকে চাপিয়ে চোরাপথে বিস্ফোরকগুলি পাচার করে দিতেন। মঙ্গলবারই একই কায়দায় বিস্ফোরক পাচার করার সময়ে ধরা পড়ে যায় আঙুর শেখ। তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার ডেটোনেটর, ১১ হাজার জিলেটিন স্টিক ও প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়া নাইট্রেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আঙুর শেখকে। আটক আরও এক। কিন্তু, কী কারণে বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করা হত? কোথায়ই বা তা পাচার হয়ে যেত? তদন্তে নেমেছে নলহাটি থানার পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পাথর খাদানে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করা হত।
চলতি মাসেই ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বীরভূমের গোঁসাইপুরের একটি পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটে। মারা যান কমপক্ষে তিনজন। শ্রমিকদের দাবি, খাদানের মাটি খুঁড়ে বেআইনিভাবে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। মেশিন দিয়ে পাথর সরানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[বাজ পড়ে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত দুটি দোকান, ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক]
