সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। তাঁর দেশে ফেরা এই মুহূর্তে ঢাকার রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পড়শি দেশের এহেন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে নয়াদিল্লি? শুক্রবার এই বিষয়ে মুখ খুলল বিদেশ মন্ত্রক।
মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''ভারত বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। এবং এই ঘটনাটিকে (তারেকের প্রত্যাবর্তন) সেই প্রেক্ষাপটেই দেখা উচিত।'' নিশ্চিত ভাবেই এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান 'সাবধানী'। প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি আপাতত নজরে রেখেই পুরো বিষয়টিকে মাথায় রাখতে চাইছে ভারত। এদিনের মন্তব্য সেটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং রয়টার্স, এএফপির মতো সংবাদ সংস্থা তারেককে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলেই উল্লেখ করেছে। ৬০ বছর বয়সি তারেক ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে ছিলেন। সেই হিসেবে প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রবল অসুস্থতার সময় তাঁকেই যে সামনে রেখে এগোতে চাইছে বিএনপি, তা স্পষ্ট। তারেক ফেরায় দলের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ফেরার পর যে ভাষণ তিনি দিয়েছেন, সেখানে মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’-এর সঙ্গে তুলনা করে স্লোগান দিয়েছেন, ”আই হ্যাভ আ প্ল্যান।” যদিও ঠিক কী পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে সেকথা জানাননি ‘ডার্ক প্রিন্স’।
বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা তাঁর। মনে করা হচ্ছে, একসময় যে জামাতকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি লড়াই করেছিল, এবার তারাই হতে পারে তাদের পথের কাঁটা। কাজেই বিএনপি ও তারেকের সাফল্যের বিপ্রতীপে জামাত যে বড় বাধা হতে পারে, সেকথা বলাই যায়। আপাতত সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
