ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পাখির চোখ ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। রাজ্যের ক্ষমতায় চতুর্থবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ফিরিয়ে আনতে সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। বর্ষশেষ আর বর্ষবরণ উদযাপনের মাঝেও দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রায় হাজার পাঁচেক নেতা-কর্মীকে নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করলেন তিনি। জনসংযোগে জোর দিতে ঔদ্ধত্য বর্জনের কথা বললেন অভিষেক। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ''মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় কোনও ঔদ্ধত্য নয়। মানুষের ব্যবহারই মানুষের পরিচয়। আপনার ব্যবহারে যেন মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামকে দেখতে পায়।''
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই জোড়া কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা 'উন্নয়নের পাঁচালি'র সঙ্গেই চলবে অভিষেকের 'উন্নয়নের সংলাপ'। শুক্রবারের ভারচুয়াল বৈঠকে সেকথা ঘোষণা করেছেন অভিষেক। ভারচুয়াল বৈঠকে তিনি দলের সমস্ত স্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ''যাঁদের কাছে যাবেন, তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে যান। কেন্দ্রের কাছে আমাদের দু'লক্ষ কোটি টাকা পাওনা। রাজ্যের হাতে সেই টাকা থাকলে বাড়তি আমরা অনেক কিছুই করতে পারতাম। এই বোঝা থাকার পরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রাস্তা, আবাসের বাড়ি দিয়েছি। অগ্রগতির গতি, বিজয় রথ অব্যাহত আছে। বিজেপি এই গতিকে বাধাপ্রাপ্ত করতে পারেনি।''
নতুন বছর অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে অভিষেকের নয়া কর্মসূচি। প্রায় ১৮০০ 'ইনফ্লুয়েন্সার' চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে ২০০ জনের কাছে মন্ত্রী ও সাংসদরা যাবেন। বাকিদের কাছে বিধায়ক, জেলা সভাপতি যাবেন। এটাই 'বাংলার সমর্থনের সংযোগ'। রাজ্যে এর জন্য ৩৮ টিম গঠিত হয়েছে। সেখানে সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক থাকবেন। একমাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে। ১৫-৩০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হবে। এসআইআর নিয়ে এদিনের ভারচুয়াল বৈঠকে অভিষেক বলেন, ''দেড়, দুই মাস আমাদের একদিকে এসআই আরের কাজ চলবে। অন্যদিকে কো-অর্ডিনেটর জেলা ভিত্তিক দেওয়া হবে। বাস্তবে এই জনসংযোগ কাজ কতটা হচ্ছে, সেটা চোখ-কান হিসাবে কাজ করবেন তাঁরা। জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যানরা তাঁদের মতো কাজ করবেন। জেলা কো-অর্ডিনেটর বাকিটা দেখবেন।''
