সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের উপর আস্থা নেই, রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে জোরালো সওয়াল জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পর এমনই বিস্ফোরক দাবি তাঁর। যদিও তৃণমূলের তরফে তার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন হলেও কেন সেখানে যাচ্ছেন না জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা, পালটা প্রশ্ন তৃণমূলের।
সোমবার সকালে নদী পেরিয়ে ধামাখালি পৌঁছন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। মাঝেরপাড়া, পুকুরপাড়া-সহ একাধিক এলাকায় ঘোরেন তিনি। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনেন। রেখা শর্মার দাবি, নির্বাচন পরবর্তী সময়েও ঠিক একইভাবে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বিনা কারণে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হয় বলেও অভিযোগ। সন্দেশখালিতে পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন রেখা শর্মা। মহিলারা নির্যাতনের শিকার বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। এদিকে, দুদিনের সফরে মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকও করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও কথা রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘মণিপুরের সঙ্গে তুলনীয় নয়’, সন্দেশখালি ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত]
যদিও জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সন্দেশখালি সফরের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই দেখছে তৃণমূল। কেন মণিপুরে না গিয়ে বাংলার সন্দেশখালি পরিস্থিতি পরিদর্শনে রেখা শর্মা, কেনই বা মণিপুরের অশান্তি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবি তুললেন না তিনি, প্রশ্ন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার।
চোপড়ায় চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেন নজর নেই কেন্দ্রের। আরও একবার সে প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলে রাখা ভালো, সোমবার চোপড়ায় গিয়েছেন মন্ত্রী। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন তিনি।