সুমন করাতি, হুগলি: চুঁচুড়া পুরসভার অব্যবস্থা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এবার পুরসভার ভিতরেই বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন দুই আধিকারিক। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার আজ সোমবার পুরসভায় গিয়েছিলেন। আর তারপরেই বিবাদ প্রকাশ্যে আসে।
বিধায়ক পুরসভা ছাড়তেই স্বাস্থ্য সিআইসি জয়দেব অধিকারী ও পুরপ্রধান অমিত রায় একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। বিধায়কের উপস্থিতি, ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এদিন বিধায়ক অসিত মজুমদার পুরসভায় গিয়েছিলেন। কাজকর্ম কেমন চলছে? পুরসভার ভিতরের পরিবেশ কেমন রয়েছে? সেইসব তিনি খতিয়ে দেখেন। পুরসভায় ভূতুরে নিয়োগের অভিযোগও সামনে এসেছে একাধিকবার। এদিন বিধায়ক বলেন, "যারা কাজ করেন না, মাইনে পাবেন না।"
অসিত মজুমদার বলেন, "দল যা বলবে, আমি তাই করব। আমাকে অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম যা বলেছেন, আমি সেটাই করছি।" পাঁচটায় গিয়ে দশটায় সই করবে। কেউ সাত দিন না গিয়ে একেবারে সই করবে। এসব চলবে না।" বিধায়কের বক্তব্যের পরে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিধায়ক এদিন পুরসভায় উপস্থিত হয়ে সমস্ত দপ্তর পরিদর্শন করেন। কর্মচারীদের সময় মতো হাজিরা, সঠিক পরিষেবা দেওয়ার ওপর জোর দেন। অস্থায়ী কর্মচারীদের মাইনে লোন করে দেওয়া হচ্ছে দুই মাসের মধ্যে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই লোন মঞ্জুর করা হয়েছে। পুরসভাকে যথাসময়ে বকেয়া বেতন মিটিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে।" বিধায়ক আরও বলেন, "বর্তমানে পুরসভা প্রায় ৬ কোটি টাকার ঘাটতিতে চলছে। এই আর্থিক সংকটের সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।"
বিধায়ক পুরসভা ছাড়ার পর পুরপ্রধান অমিত রায় তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, "পুরসভা একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিধায়ক আমাদের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।" এই বক্তব্যের পরই পুরসভার অভ্যন্তরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুরপ্রধান এবং স্বাস্থ্য সিআইসি জয়দেব অধিকারীর মধ্যে চরম বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সঠিক সময়ে হাজিরা এবং স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে তীব্র তর্ক চলে। গোটা বিষয়ে সাধারণ মানুষ এবং কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।