শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল স্বামী। সেই মামলায় এবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল আদালত। আজ শনিবার স্ত্রী খুনে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক।

আদালত সূত্রে খবর, খুনের ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ঘটেছিল। জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়া পার্কের মোড় এলাকায় স্ত্রী, এক ছেলেকে নিয়ে থাকত সন্তোষ দাস। কোনও বিষয় নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করত সে। সেই সন্দেহের জেরেই স্ত্রীকে ওই দিন দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর সন্তোষ দাস কোতোয়ালি থানায় গিয়ে স্ত্রীকে খুনের কথা বলেছিল। প্রথমে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক, কর্মীরা হতবাক হয়েছিলেন। বারংবার বলার পরে সন্তোষ দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ যায়।
বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ। দেহের পাশেই পড়েছিল খুনে ব্যবহৃত দা। ঘটনাস্থলেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রক্তমাখা দা-ও উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলা শুরু হয় জলপাইগুড়ির ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টে। গ্রেপ্তারির পর থেকে ওই ব্যক্তি জেলেই ছিল। বিচারক বিভূতি সিংয়ের এজলাসে সেই মাওলা চলছিল।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল হল। আজ শনিবার বিচারক সন্তোষ দাস তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও পাঁচমাস কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী শুভঙ্কর চন্দ জানিয়েছেন। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিল ওই দম্পতির নাবালক ছেলে।