শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: জাল নোট পাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল এক মহিলা। জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে মামলা চলছিল। সেই মামলায় এবার সাজা ঘোষণা হল। দোষী মহিলাকে পাঁচ বছরের সাজা শোনালো আদালত। জাল নোট পাচারে এই প্রথম ওই আদালতে মহিলার সাজা ঘোষণা হল। এমনই জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিল সাঞ্জিমা খাতুন নামে বছর ৩০-এর ওই মহিলা। ফরাক্কা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সে ঘোরাঘুরি করছিল। পুলিশের তাঁকে দেখে সন্দেহ হয়। তাঁকে আটক করে শুরু হয় তল্লাশি। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায় প্রায় চার লক্ষ জাল টাকা। ওই মহিলার বাড়ি মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার পুরাতন বাবুপাড়াতে। এরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওই মহিলা দীর্ঘ সময় ধরে জালনোট কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে। সেই কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। তিন বছরের বেশি সময় ধরে বিচারক অনীলকুমার প্রসাদের এজলাসে ওই মামলার শুনানি চলে। বুধবার বিচারক ওই মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। না দিলে অনাদায়ে আরও ছ'মাস জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই প্রথম জাল নোট পাচার কাণ্ডের কোনও মহিলার সাজা ঘোষণা হল। এই কথা জানিয়েছেন আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় জাল নোট পাচারের ঘটনা মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। তদন্তে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয় অনেকে। পাচারচক্র রুখতে সক্রিয় পুলিশ। তারপরও মাঝেমধ্যে জাল নোট পাচারের ঘটনা দেখা যায়।