সুমন করাতি, হুগলি: বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেই শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ, খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। কিছু দিন আগেই খানাকুলের বিডিও অফিসে ঢুকে আঙুল তুলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। এবার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে অফিসের মধ্যেই এলোপাথারি ঘুসি, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আজ, সোমবার খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বৈঠক ছিল। সেখানে ফেরিঘাটের টাকা আদায় নিয়ে শুরু হয় তর্ক! অভিযোগ, সেইসময় বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রবীন প্যাটেলের উপর হামলা চালান। তাঁকে চড়, কিল, ঘুসি মারা হয়! আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রবীন প্যাটেলের অভিযোগ, "দলের মণ্ডল সভাপতির নামে একটি ফেরিঘাট নিয়ে নিজে চালান বিধায়ক। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ কমিটির মিটিং চলাকালীন ফেরিঘাটের টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। উনি মাত্র ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সাড়ে ২০ লক্ষ টাকা দেননি। তা নিয়ে বলতেই আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।" ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের তরফে এই ঘটনা তুমুল ক্ষোভ ও সমালোচনা করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন নন্দী বলেন, "টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিজেপি নিজেরাই মারপিট করছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা রাখার চেষ্টা করেছিল। সেটা সামনে এসেছে।"
বিজেপির তরফে এই বিষয়ে কার্যত মুখে কুলুপ আঁটা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, "ঘটনার কথা শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি। তার আগে কিছু বলতে পারব না।" যাকে ঘিরে এত অভিযোগ, সেই বিজেপি বিধায়ক কী বলছেন? বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "এসব মিথ্যা কথা। তিনি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও মহিলা সদস্যদের সঙ্গে উত্তেজিতভাবে কথা বলছিলেন। মহিলারা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলেন। তখন পা পিছলে পড়ে যান। তাঁর সুস্থতা কামনা করি।”
