ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: হাওড়ায় পৌঁছল কলকাতা পুরসভার পাঠানো জলের গাড়ি। সংকট মেটাতে ১৫টি জলের ট্যাঙ্ক শুক্রবার দুপুরে পাঠানোর কথা ছিল। যতদিন না হাওড়ায় পানীয় জলের সংকট মেটে ততদিন কলকাতা পুরসভার তরফে এই পরিষেবা দেওয়া হবে বলেই খবর।

হাওড়ায় দফায় দফায় মাটিতে ধস। বেলগাছিয়ায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাম্পিং স্টেশন। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে উদ্বেগ। কেন এমন সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বৈঠকে বসতে চলেছে হাওড়া পুরসভা, কেএমডিএ। থাকবেন হাওড়ার জেলাশাসকও। কেন, কীভাবে এই সমস্যা তৈরি হল সে বিষয়ে আলোচনা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ওই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। তবে এদিকে, পাইপলাইনের কাজ হচ্ছে। যাতে আর কোনওভাবে মাটি বসে না যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনার কথা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। এদিন হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড়ে ভূমিধস হয়। যার জেরে প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। ভেঙে পড়ে রাস্তার ধারে থাকা পাঁচিল। এই ধসের জেরে মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে হাওড়া পুরসভার পাইপ লাইন। ফেটে যায় পাইপ লাইন। যার জেরে বৃহস্পতিবার থেকে তীব্র গরমেও ওই এলাকারা বাসিন্দারা পাচ্ছেন না জল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী -সহ পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। হঠাৎ কী কারণে ও কীভাবে ভূমিধস হল তা খতিয়ে দেখে মেরামতের কাজ শুরু করে পুর কর্তৃপক্ষ। মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানান, খুব শীঘ্রই মেরামতের কাজ শেষ করা হবে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি।