সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফের জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার পুরুলিয়ার কাশিপুর বিধানসভা কার্যালয়ে ওই ব্লকের সিমলা-ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়মি সমর্থিত নির্দল জয়ী সদস্য নিতু মাহাতো সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ওই জয়ী সদস্যের সঙ্গে ১০টি পরিবার শাসকদলে যোগ দেন। শনিবার তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। এই যোগদান কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন বেলথরিয়া।
জেলা সভাপতি বলেন, “জেলায় যেসব গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও ত্রিশঙ্কু আছে বোর্ড গঠনের আগেই সেগুলো আমরা দখল করব। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যরা উন্নয়নের কারণেই আমাদের দলে যোগদান করছেন। ” তবে এই কুড়মি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় আদিবাসী কুড়মি সমাজ এই যোগদানের বিরুদ্ধে ওই গ্রামে মিটিং-মিছিল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একইভাবে সম্প্রতি জয়পুর ব্লকের উপরকাহন গ্রাম পঞ্চায়েতেরও কুড়মি সমর্থিত ২ নির্দল প্রার্থী সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেন। সেখানেও মিটিং- মিছিল হবে বলে আদিবাসী কুড়মি সমাজ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দালাল-চিটিংবাজ ঢুকে পড়ছে, দলটাকে বাঁচান! ফেসবুকে লাইভে আরজি মদন মিত্রের]
সিমলা-ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১২টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৬ টি আসন। বিজেপি চারটি, কুড়মি সমর্থিত নির্দল একটি ও সাধারণ নির্দল একটি আসন। কুড়মি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী শাসক দলে চলে আসায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা (প্রধান নেতা ) অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, “আমাদের সদস্যদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে শাসক দল যোগদান করাচ্ছে। এই যোগদানের বিরুদ্ধে আমাদের গ্রামে-গ্রামে মিটিং-মিছিল হবে। যেভাবে শাসক দল আমাদের জয়ী সদস্যদেরকে দলে টানছে এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে আমাদের গুরুত্ব কতখানি। আমাদের ছাড়া শাসক দল বোর্ড গঠন করতে পারছে না।” তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওই জয়ী সদস্য নিতু মাহাতো জানিয়েছেন, “আমি স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছি। নির্দলে থেকে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই আমি তৃণমূলে এলাম।”
