নন্দন দত্ত, বীরভূম: লালন শেখের (Lalan Seikh) মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এবার দুই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন লালনের স্ত্রী। অভিযুক্তদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত দেহ নেবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সিআইডি তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই মৃতের পরিবার দাবি করে খুন করা হয়েছে যুবককে। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ। সেই মৃত্যুকে নিয়েই চরমে কাঁটাছেড়া। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক লালনের স্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “ভাস্কর ও বিলাস আমার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। খুব মেরেছিল। ও আমাকে বলেছিল, আজ দেখে নাও। এটাই হয়তো আমাদের শেষ দেখা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে।” লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। মেয়ের সম্মানহানির হুমকিও দিয়েছিল। লালনের জিভ কেটে দেওয়া হয়েছিল সিবিআই হেফাজতে। মামলা ধামাচাপা দিতে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল সিবিআই, এমন বিস্ফোরক দাবিও করেছে পরিবার। রেশমার সাফ কথা, অভিযুক্তদের শাস্তি না হলে দেহ নেবেন না। সিআইডি তদন্তের আরজিও জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ি পিষল চার শাবককে, মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ দেহ আগলে বসে সারমেয় মা]
রেশমার করা এফআইআরে নাম রয়েছে তিন সিবিআই আধিকারিকের। তাঁদের বিরুদ্ধে লালন ও রেশমাকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। হার্ড ডিস্কের জন্য ফোনে রেশমাকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরই নাকি মেলে লালনের মৃত্যু সংবাদ।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধেয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) খুন হন। এরপর রাতে বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন আনারুল।