শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: মাফিয়াদের হাত থেকে নিজের জমি বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বিশেষভাবে সক্ষম এক প্রৌঢ়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় পায়ে গুলি লেগে হাসপাতালে ভরতি আনোয়ার ইসলাম নামে বছর পঞ্চান্নর এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গুলিচালনার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা গ্রামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এনিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগেই। চোপড়ার হকতিয়াগজ পঞ্চায়েত এলাকার ঝরাগজে ৬ বিঘা জমি রয়েছে আনোয়ার ইসলামের। অভিযোগ, সেই জমি বারবারই বিক্রির জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিল স্থানীয় দালাল নজরুল ইসলাম। মাত্র ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই ৬ বিঘা কিনে নিতে চাইছিল নজরুল। কিন্তু জমি বিক্রি করতে নারাজ আনোয়ার। এনিয়ে নজরুল-আনোয়ারের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিলই। মাঝেমধ্যেই নজরুল তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: গ্রাম দখলের লড়াইয়ে চলল গুলি-বোমা, সাঁইথিয়ায় মৃত যুবক]
আজ সকালে ঘটনা আচমকা অন্য দিকে মোড় নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সদলবলে আনোয়ারের ওই জমি দখল করতে যায় জমির দালাল নজরুল ইসলাম। খবর পেয়ে পালটা আনোয়ারও নিজের জমি বাঁচাতে সেখানে পৌঁছে যান। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। জমি ছাড়তে একেবারেই নারাজ আনোয়ার। তাঁর এই অনড় মনোভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নজরুলের দলবল। আচমকাই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। গুলি গিয়ে লাগে আনোয়ারের পায়ে। তিনি এমনিতেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি। তারউপর পায়ে গুলি লাগায় সেখানেই পড়ে যান। তাঁর সঙ্গীরা উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করান। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: অগ্রিম বেতন নিয়ে বচসা, আক্রোশে চিকিৎসকের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনে গ্রেপ্তার গাড়িচালক]
জখম আনোয়ারারে ভাইপো নুরুল হুদা অভিযোগ করেছেন, ‘আমার কাকা নিজের জমি বাঁচাতে গিয়েছিলেন। তখনই নজরুল ইসলামের দলবল কাকাকে গুলি করে।’ চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের দাবি, ‘আনোয়ার দলের সক্রিয় কর্মী। ও চা বাগানের একজন শ্রমিক। পায়ে সমস্যা আছে, বয়সও হয়েছে। কাজ তেমন করতে পারে না। জমির দালালরা ওকে যেভাবে আক্রমণ করল, তা নিন্দনীয়।’ ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন, ‘ একটা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনেছি। ওখানে পুলিশ গিয়েছে।’
The post নিজের জমি বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বিশেষভাবে সক্ষম প্রৌঢ়, অভিযুক্ত মাফিয়া বাহিনী appeared first on Sangbad Pratidin.
