সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের ইসিএলের খোলা মুখ খনিতে কয়লা চুরির চেষ্টা। কয়লা হাতাতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিনজনের। আহত পাঁচ জন। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের ভানোরা খোলামুখ খনি এলাকার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। যার জেরে খনির উৎপাদন ব্যাহত হয়।
[এবার কেন্দ্রের সম্পত্তি নিশানা মোর্চার, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্টেশনে আগুন]
আসানসোল, রানিগঞ্জ এলাকায় রয়েছে বহু খোলা মুখ খনি। এর কয়েক জায়গায় কাজ হয়, কোনটা বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এই সব খনিতে ঢুকে মাঝেমধ্যেই কয়লা চুরি করে। আর এই অসাধু কাজ করতে গিয়ে বিপত্তিও কম হয় না। শুক্রবার সূর্য ওঠার আগে আটজনের একটি দল আসানসোল উত্তর থানা এলাকার ভাদোরা খনিতে ঢোকে। ওই চালু খনিটি ইসিএলের। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়লা চুরির সময় আচমকা খনির ছাদের মাটিতে ধসে নামে। আটজন পড়ে যায়। এর মধ্যে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। তারা হল কাজল বাউরি, গোবিন্দ মুর্মু ও নারায়ণ টুরি। এদের বয়স ২৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। আহত বাকি পাঁচজনের এলাকার লোকজন উদ্ধার করে। তারাই কাউকে বুঝতে না দিয়ে আহতদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়। ক্ষতিপূরণের দাবিত দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জমি নিয়েছিল ইসিএল। কিন্তু কর্মসংস্থানের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। তবে এই বিক্ষোভের খনির কাজকর্ম ব্যাহত হয়। বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। আসানসোল-দুর্গাপুরের কমিশনারেট লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
The post খনিতে ধস, কয়লা চুরি করতে গিয়ে মৃত ৩ appeared first on Sangbad Pratidin.
