শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনেও অটুট বাম-কংগ্রেস (Left and Congress) জোট। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেরা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল। জানানো হয়েছে, উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসকে সমর্থন করছেন বামেরা। মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিআইএম সম্পাদক জামির মোল্লা জানান, সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেরা প্রার্থী দিচ্ছে না।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার পর বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বাম চেয়ারম্যান বিমান বসুর কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে আবেদন জানান, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসকে বামেরা সমর্থন করুন। এরপর বৃহস্পতিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। অধীরবাবুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা বামফ্রন্ট। তাই আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থীও দেবে না বামেরা।
[আরও পড়ুন: ‘কড়া পদক্ষেপ নয়’, মাছ মন্তব্য ইস্যুতে পরেশ রাওয়ালকে ‘রক্ষাকবচ’ হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। তাঁর প্রয়াণের পরই এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে লড়ছেন সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির হয়ে লড়ছেন দিলীপ সাহা। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। নবগ্রামের বাসিন্দা দিলীপ সাহা বর্তমানে বহরমপুরেই থাকেন। ২০১৬ সালে নবগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন দিলীপ সাহা (Dilip Saha)। সে সময় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের কানাই মন্ডলের কাছে পরাজিত হন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এবং এবারের উপনির্বাচনে টিকিট পেলেন। সিপিএমের তরফে কোনও প্রার্থী না দেওয়ায়, বাইরন বিশ্বাসই বাম-কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করবেন।
[আরও পড়ুন: ফুরিয়েছে রাজার ধন! নির্বাচনে লড়তে সমর্থকদের কাছে হাত পাতলেন প্রদ্যোত দেববর্মণ]
এর আগে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় আমন্ত্রণ সত্ত্বেও বামেরা সরাসরি অংশ নেয়নি। নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কারণ দেখিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। মনে করা হচ্ছিল, বাম-কংগ্রেসের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। কিন্তু উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করে সেই জল্পনায় জল ঢালল আলিমুদ্দিন।