সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিরিক্ত গরমে এসি-র (AC) নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারের কারণে রাজ্যের বহু জায়গায় তৈরি হল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের মত, ট্রান্সফর্মারে ‘আননোন লোড’ থাকার ফলেই এই বিভ্রাট। আগাম না জানিয়ে এসি-সংযোগের ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে কলকাতা ও শহরতলির সিইএসসি (CESC) এলাকায়ও। বিদ্যুৎ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে আচমকা সমস্যা বেড়ে যায়। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই এসি নিয়েছেন। কিন্তু সেগুলির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। এর ফলে ট্রান্সফর্মারে ‘আননোন লোড’ বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেগুলি ট্রিপ করে যায়। কেবলেও আগুন লেগে যায় অত্যধিক লোডের ফলে। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের মোবাইল ভ্যান অভিযোগ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে দাশনগর ও গোবিন্দপুরে সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। রাত সাড়ে বারোটার পরও তা মেরামত না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে সিইএসসি-র উপর। কিছু মানুষ পরিস্থিতি জানাতে রাতেই গিয়ে হাজির হন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বাড়িতে। কাউন্সিলর জানান, ‘‘বিষয়টি কেএমসি (KMC) বা রাজ্য সরকারের অধীনে নয়। পুরোপুরি বেসরকারি সংস্থা সিইএসসি-র আওতায়। তবুও সন্ধ্যা থেকে তিন-চারবার দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার আবির রায়কে বলেছি। ওরা জানিয়েছে, কেবল পুড়ে গিয়েছে, সেটা পাল্টানোর জন্য দেরি হচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: ১১ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটিরও বেশি টাকা! CBI-এর নজরে জীবনকৃষ্ণ ও স্ত্রীর সম্পত্তি]
বাসিন্দাদের অনুরোধে রাত আড়াইটে পর্যন্ত গোবিন্দপুর ও দাশনগরে বিদ্যুৎ মেরামতের পর ঘরে ফেরেন কাউন্সিলর। পরিস্থিতির জেরে সোমবার দুপুরে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের টিম পাঠিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের ঘোষণা করে। বেলঘরিয়া, বিরাটি ছাড়াও সিইএসসি-র এয়ারপোর্ট, বাগুইআটি, আমহার্স্ট স্ট্রিট, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, জোকা, হরিদেবপুরে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর আসে সিইএসসি-র কন্ট্রোল রুমে।
[আরও পড়ুন: ৫ টাকায় ডিমসিদ্ধ-সবজির সঙ্গে পাতে পড়বে টকডাল! অত্যধিক গরমে নতুন মেনু ‘মা কিচেনে’]
ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, বস্তি এলাকায়ও প্রতিটি ঘরে দু’টি বা তিনটি করেও এসি লাগানো হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে সংস্থাকে জানানোও হয়নি। রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন সল্টলেকের আইএ, আইবি বা নিউটাউনের সিই-তেও একইভাবে ট্রান্সফর্মার ট্রিপ করে গিয়েছিল। যদিও কোনও জায়গাতেই সাধারণ মানুষের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। ভাঙড়ের পোলেরহাটেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়।