বাবুল হক, মালদহ: প্যারামেডিক্যাল ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। পুকুর পাহারা দিতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বালুভরট গ্রামে।
যুবকের নাম মুজাহিদ আলম। বয়স ২২ বছর। কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজে প্যারামেডিক্যালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি বালুভরটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে নন্দীবাটি এলাকার মাঝিপুকুর লিজে নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন মুজাহিদের বাবা মহম্মদ হানিফ। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ মুজাহিদ সেই পুকুর পাহারা দিতে যায়। শনিবার ছেলের বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে বাবা পুকুর পাড়ে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, পুকুরে ভাসছে ছেলের দেহ। খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
দেহটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরাই। খবর পেয়ে ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। প্রথম দিকে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেয় স্থানীয় ও পরিবারের লোকেরা। পরে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেউ কি তাঁকে খুন করল, তা নিয়ে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে।