সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় বিডিও-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। ভরা সভায় বিধায়কের আচরণ মোটেও ভালভাবে নেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানান, বিডিও নিজের মতো কাজ করবেন, বিধায়কের কথায় চলবেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নদিয়ার রানাঘাটে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সদস্যদের সমস্যার কথা শোনেন তিনি। প্রত্যককে নিজের মতো করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কারও আরজি আবার সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করে দেন। এদিনের সভায় ছিলেন করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে এলাকার সমস্যার কথা জানানোর পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বিডিও-এর বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোবাইল ব্যবহারে পড়ুয়াদের ‘মার’ শিক্ষকদের, জীবনতলার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার]
এদিন বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, “বিডিও আমার বিরুদ্ধে দল তৈরি করছে।” বিডিওর মেয়াদ শেষের দিকে তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানান তিনি। অর্থাৎ সম্ভবত বিডিওকে সরিয়ে ফেলার কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। বিধায়কের এহেন মন্তব্য শুনে রীতিমতো রাগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বিডিও তাঁর নিজের মতো করে কাজ করেন। সেটাই নিয়ম। বিমলেন্দুবাবুকে বলেন, “বিডিও আপনার কথা মতো কাজ করবে না। আর আপনার কথায় বিডিও বদলও হবে না।” দীর্ঘদিন ধরে করিমপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে আসছিল। বিডিওর সঙ্গে বিধায়কদের মন কষাকষির নেপথ্যে সেই কোন্দলও কারণ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
প্রসঙ্গত, এদিন প্রশাসনিক সভার শুরুতেই কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বহু পুরনো সার্কিট হাউজ তৈরি করতে পূর্ত দপ্তরের PWD-কে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা যায় ছাদ ভেঙে পড়েছে। এখন ছাদ সারাইয়ের জন্য আরও ৭১ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এনিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।