সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্তি নয় উন্নয়ন। হিংসা নয় শান্তি। শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে, শিল্প হবে। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্থাৎ জিটিএ’র (GTA) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি এবং উন্নয়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল কংগ্রেস যে নিঃস্বার্থে পাহাড়ের উন্নয়ন চায়, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। পাহাড়বাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ”আমি আপনাদের দখল নিতে আসব না। শুধু ভালবাসতে আসব।”
জিটিএ’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অনীত থাপা (Anit Thapa) শপথের মঞ্চ থেকেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, পাহাড়ে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। মমতার হাত ধরে তিনি শুধু উন্নয়নের কাজ করতে চান। অনীতের পরই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, “পাহাড়ে এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে দেখিনি। পাহাড়ের মানুষ যা পারে তা অনেকেই পারে না।” এরপরই দার্জিলিংবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ”কথা দিন, পাহাড়কে আর অশান্ত হতে দেবেন না।”
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মানতে হবে ধর্মের ভারসাম্য, সওয়াল যোগীর]
পাহাড়বাসীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “আমরা বন্ধুত্ব চাই। ঝগড়া চাই না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, পাহাড় ভাল থাক। পাহাড় এগিয়ে যাক। পাহাড়ের হাসি দেখতে চাই। কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসি দেখতে চাই।” বস্তুত দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং অশান্তির পর মমতার হাত ধরেই পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। সেই শান্তি যে তিনি কোনওভাবেই বিঘ্নিত হতে দেবেন না, সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কড়া বার্তা, “কোনওভাবেই পাহাড়কে অশান্ত হতে দেব না। কোনও ধান্দাবাজের কথায় পাহাড়ে যেন অশান্তি না হয়।”
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১৩ হাজার ৬১৫ জন, স্বস্তি পজিটিভিটি রেটে]
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার শুধুই পাহাড়ে শান্তি আর উন্নয়ন চায়। উন্নয়নের লক্ষ্যে জিটিএ-কে গত ১০ বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে একইভাবে সাহায্য করা হবে। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছে, সেই খতিয়ানও এদিনের সভায় তুলে ধরেছেন মমতা। তবে সবশেষে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা, “আমি পাহাড়ের দখল নিতে আসব না। আমি শুধু ভালবাসতে আসব।”