পলাশ পাত্র, তেহট্ট: বিয়ের মরশুম চলছে। আর নিজের বিয়েতে অতিথিদের চমক দিতে কতই না পরিকল্পনা। কেউ খাবারের আইটেমে চমক দেন। তো কেউ চমক দেন বিয়ের কার্ডে। এক একজনের বিয়ের স্বপ্ন এক একরকম। কিন্তু এর আগে এমন অভিনব উপায়ে বিয়ে করার কথা হয়তো কেউ ভাবেনি। রোলার চেপে বিয়ে করতে এলেন পাত্র। এমন রাজকীয় বিয়ে এর আগে কি হয়েছে? এই ঘটনা কৃষ্ণনগরের। রবিবার রাতে অভিনব উপায়ে রোলারে চেপে বিয়ে করতে এল বর। গোটা বিয়েটাই সারলেন অভিনব উপায়ে।
[গৃহবধূকে নগ্ন ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল, ধর্ষণের চেষ্টায় ধৃত ৩]
ছোটবেলা থেকে শখ ছিল, পুরনো গাড়িতে করে বিয়ে করতে যাবেন। বিয়ের পোশাক, গলায় মালা, মাথায় টোপর। কৃষ্ণনগরের হাই স্ট্রিট এলাকায় সোমবার রোলার চেপেই বিয়ে করতে এলেন বর। এই অভিনব উপায় বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে রাস্তায় ভিড় জমে যায়। এই ঘটনার সাক্ষী থাকার পর বরকে শুভেচ্ছা জানাল সাধারণ মানুষও। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। তা নিয়ে শুরু হয় চর্চাও। এমন অভিনব উপায়ে বিয়ে করার দৃশ্য এর আগে দেখা যায়নি। রবিবার রাতে কৃষ্ণনগরের সোনা ব্যবসায়ী অর্ক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে অরুন্ধতী তরফদারের বিয়ে হয়। বাবা চিকিৎসক। মেয়ে ইংরেজিতে ডক্টরেট। অরুন্ধতীর সঙ্গে গত তেরো বছর ধরে সম্পর্ক ছিল অর্কের। দীর্ঘদিন ধরে একাধিক পরিকল্পনা করে বিয়ের আয়োজন করেন অর্ক ও অরুন্ধতী। বিয়েতে কোনও প্লাস্টিক ব্যবহার হবে না। তাই তত্ত্ব সাজানোর জন্য ডালা ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে কাগজের ব্যাগ। বরযাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিনিবাসে। আর সবশেষে বিয়ে করতে পাত্র এলেন রোলারে। সব মিলিয়ে অভিনব উদ্যোগ নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করলেন অর্ক ও অরুন্ধতী।
[খুনিদের বোকা বানাতে ‘মৃত’ সাজলেন প্রৌঢ়, ফিরলেন নতুন জীবনে]
মঙ্গলবার রিসেপশন। জানা গিয়েছে, বউভাতে কোন ইলেকট্রনিক সাউন্ড থাকবে না। দমদম মেট্রো স্টেশনের নিচে এক বাঁশিওয়ালা আছেন। তাঁর বাঁশিই বাজবে রিসেপশনে। অর্ক বলেন, ‘‘পুরনো দিনের গাড়ি চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। পুরনো দিনের রোলার পেয়ে যাওয়ায় সেটাই সাজানো হয়। তাতে বসেই বিয়ে করতে যাই। তাতে খরচও অনেক সাশ্রয় হয়েছে।’’ নববধূ অরুন্ধতী বলেন, ‘‘এটা একটা অভিনব ব্যাপার। রোলার রাস্তা ঠিক করে। “পুরনো চাল ভাতে বাড়ে”। সেই পুরনো রোলারকে বিয়েতে নিয়ে আসা হল। বিষয়টি সম্পূর্ণ অভিনব।’’
The post রোড-রোলারে এল বর, অভিনব বিয়ে কৃষ্ণনগরের দম্পতির appeared first on Sangbad Pratidin.
